ছাত্রলীগের মারামারিতে বন্ধ হওয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ খুলল

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৮:০৭; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৭

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের মধ্যে গত ২৯ অক্টোবর রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে মারামারি হয়।

এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষের ৩১ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রলীগের এক পক্ষ গত বুধবার থেকে সক্রিয় রয়েছে। দুটি পক্ষেরই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানানোর কথা। তবে প্রথম দিন কেউ আবেদন করেনি।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম দিন কেটেছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও খুব ভালো ছিল। সব ক্লাস চলেছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগের পক্ষটির কলেজ খোলার প্রথম দিনই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আবেদন করার কথা ছিল।

এ পক্ষের নেতা ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের (ইচিপ) সভাপতি কে এম তানভীর বলেন, ‘আমরা আবেদন প্রস্তুত করছি। দু–এক দিনের মধ্যে জমা দেব।’ তাঁদের পক্ষের ২৩ জনকে পক্ষপাতমূলকভাবে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগের অন্য পক্ষটিও তাঁদের আটজনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।

চমেক ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমীন বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষ্যের সঙ্গে দেখা করে ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাব। পাশাপাশি আসল দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে আবেদন জানাব।’

গত মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ভার পুলিশের কাছে ন্যস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২৯ অক্টোবর রাতে মারামারির পরদিন ক্যাম্পাসের সামনে রাস্তায় মাহাদি জে আকিবের ওপর এক পক্ষ হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ২১ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়েছে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top