অপূর্ব সৌন্দর্যে মোড়া জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২ ০৪:০৮; আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:২৬

জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। অপরূপ নকশা সম্বলিত মসজিদটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে। জেলার পরিচিতি হিসেবেও স্থান পেয়েছে মসজিদটি। মসজিদটি এক নজর দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা।

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ছোট হলেও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জনপদ। এ জনপদে রয়েছে বেশকিছু প্রাচীন ঐতিহ্য। জেলা শহর থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই চোখে পড়বে অপূর্ব সৌন্দর্য আর দৃষ্টি নন্দিত প্রাচীন ঐতিহ্যের ওই জামে মসজিদ।

জানা যায়, মসজিদের প্রবেশমুখে রয়েছে সুন্দর একটি তোরণ। নির্মাণশৈলী ও অপূর্ব কারুকাজ মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। পুরাকীর্তির মধ্যে জামালপুর জামে মসজিদ অন্যতম। তৎকালীন তাজপুর পরগনার জমিদারবাড়ি থেকে রওশন আলী নামে এক ব্যক্তি আসেন এ অঞ্চলে। তারই বংশধররা পরবর্তীতে এখানে জমিদারি পান।

জানা যায়, ১৮৬২ সালে বসবাসের জন্য জামালপুরে জমিদার বাড়ির ভিত্তি স্থাপন করলেও কাজ শেষ না হতেই ১৮৬৭ সালে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে মসজিদের কাজ শেষ করা হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশের হংসরাজ এবং তার ছেলে রামহিৎ মসজিদটির মূলকারিগর হলেও দ্বারভাঙা এলাকার কারিগররাও নির্মাণ কাজে অংশ নেয়। কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মসজিদটির শিল্পকলা দৃষ্টি নন্দিত, মনোমুগ্ধকর ও প্রশংসাযোগ্য হয়ে ওঠে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জামালপুর জামে মসজিদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, জামালপুর জামে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত হলেও ঐতিহ্য রক্ষায় কোনো গুরুত্ব নেই সরকারের। আর সে কারণে অবকাঠামো ধ্বংসের মুখে আজ।

বারো শতক জমির ওপর নির্মিত দেড়শ বছরের পুরনো ওই মসজিদটি দেখতে দেশ বিদেশ থেকে বছরে প্রায় ত্রিশ হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসেন। আর মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বেশ কয়েক বছর আগে তালিকাভুক্ত করে ৪৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top