অনুমোদন পেল ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন ২০২০’

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪৭; আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৩৫

ফাইল ছবি

হজ এজেন্সিগুলোর অনিয়ম রোধে আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এজেন্সিগুলো হজ কার্যক্রম নিয়ে অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। আর ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। অন্যদিকে ফৌজদারি অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইসব বিধানের সমন্বয় করেই ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়াটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণমাধ্যমকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী অনিয়মের জন্য কোনো এজেন্সিকে যদি পরপর দুই বছর সতর্ক করা হয়, তাহলে সেটির লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুই বছরের জন্য বাতিল হবে। আর হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ব ও নাম পরিবর্তন করতে যদি চায়, তাহলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

সচিব আরো জানান, এত দিন পর্যন্ত হজ ব্যবস্থাপনা চলত একটি নীতিমালার মাধ্যমে। নীতিমালার মাধ্যমে চলার কারণে অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে অসুবিধা হতো।

ফলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত না, ব্যবস্থা নিলে সংশ্লিষ্টরা আবার হাইকোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসত। এ ছাড়া ২০১১ সাল থেকে হজ ব্যবস্থাপনাও পরিবর্তন হয়েছে।

শীঘ্রই পাস হতে যাওয়া এই আইনে পবিত্র হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সরকার হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে রাজকীয় সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতার ভিত্তিতে সৌদির যেকোনো স্থানে হজ অফিস স্থাপনসহ সার্বিক কার্যক্রম নিতে পারবে। নিবন্ধন ছাড়া কাউকে ওমরা বা হজে কেউ পাঠাতে পারবে না। যদি কেউ এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম করে, তাহলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানির সুযোগ দিয়ে হজ ও ওমরা এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

এছাড়া, এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ এই দেশে (বাংলাদেশে) হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন বিধানও রাখা হবে হয়েছে।

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top