একটি ভুল সংশোধনের ২৫ আসামির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন হওয়ায় আবার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়েছে আলোচিত মামলাটিতে।
মঙ্গলবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এরপর বিচারক বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ যখন আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল, তখনও ২২ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
এই আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাবেক সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, সাবেক উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ, সাবেক উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, সাবেক সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম।
মামলার আট আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও নাজমুস সাদাত।
পলাতক আসামিরা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার।
মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: