ছাত্রলীগ নেতা ভাস্করের বহিষ্কার চান শিক্ষার্থীরা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২ ০৭:০১; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ০১:০৫

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রুমে আটকে রেখে শিক্ষার্থী নির্যাতনে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ভাস্কর সাহাকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ভাস্কর সাহা মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

তার বহিষ্কার দাবিতে রোববার দুপুর ১২টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনীতি বিভাগের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।

এ সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাজনীতিতে অধিক মনোযোগী সেজন্য ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চান না। এই পরিস্থিতির কারণেই শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের অপকর্মে জড়াচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে ব্যর্থ। ঘটনার পর ভুক্তভোগীকে আবার ওই হলেই রাখা হয়েছে। তাঁর কাছে গিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা আবার কথা বলেছে। এখানে তাঁর এই নিরাপত্তাটুকু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিতে পারেনি। আমরা চাই, দ্রতই জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হোক। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারেরও দাবি জানান তিনি।

বিভাগের শিক্ষার্থী টিপু সুলতান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিটা দিন অনিরাপত্তার মধ্যদিয়ে পার করছেন। হলগুলো শিক্ষার্থীদের নিজ বাড়ি। নিজের বাড়িতেই যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে আর কোথায় গিয়ে নিরাপত্তা দাবি করব? যেকোনো ঘটনা ঘটলে প্রত্যেকটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। তদন্তের ফল আমরা দেখি না।

কর্মসূচিতে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহিদ হোসেন বাবু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমঝোতার নাটক সাজানো বন্ধ করতে হবে। আপনারা যদি এই ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেন তাহলে এগুলো চলতেই থাকবে। এজন্য আপনাদের অবশ্যই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।

গত শুক্রবার ভুক্তভোগী সামসুল ইসলাম ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেতা ভাস্কর সাহা তাঁকে রুমে ডেকে গলায় ছুরি ধরে আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের বিষয়টি জানাতে চাইলে রড ও স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করেন। এই বিষয়টি কাউকে জানালে আবরারের যে অবস্থা হয়েছে সেই অবস্থা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top