ভাচ্যুয়াল আলোচনায় বক্তারা

পলাশীর বিপর্যয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২১ ০১:৫০; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৮

ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ এর উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার “পলাশী- পরবর্তী বাংলায় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন” র্শীষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা বলেন, পলাশীর বিপর্যয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পরলেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারব, সমস্ত ধরনের আধিপত্যবাদী শক্তির মুকাবেলা করে আমাদের স্বাতন্ত্রবোধ রক্ষা করতে সক্ষম হব। বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন: পলাশীর ষড়যন্ত্রকারী দেশী-বিদেশী গাদ্দাররা শুধু ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হয়নি, তাদের প্রত্যেকের পরিণতি হয়েছিল অত্যন্ত করুণ। সুতরাং আজও যারা দেশ ও জাতির সাথে বেইমানি করবে তাদের পরিণতিও অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি, লেখক ও বুদ্ধিজীবী এবং শত নাগরিক জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আবদুল হাই শিকদার। বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, কলামিস্ট এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বভিাগরে প্রফেসর ড. ইফতখিারুল আলম মাসউদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, ভারতের কলকাতার ‘নতুন গতি’ পত্রিকার সম্পাদক কবি এমদাদুল হক নূর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদালয়, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মু. মনিরুজ্জামান এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক, বিশিষ্ট গ্রন্থাকার জনাব জিয়াউল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক এবং রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি সরদার আবদুর রহমান।

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুধী ও গবেষকের অংশ গ্রহণে এবং ড. ইমতিয়াযুল আলম মাহফুয এর কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার শুরু হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব, নতুন এক মাত্রা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক কবি ফজলুল হক তুহিন প্রমূখ।

সভায় বক্তাবৃন্দ বলেন, পলাশীর ভাগ্য বিপর্যয়ের মাধ্যমে বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার জীবন-জীবিকার উপর সার্বিকভাবে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা এখন পর্যন্ত কাটানো সম্ভব হয়নি। মুসলিম বাংলার শাসকরা বহিরাগত ছিলেন না, তাঁরা এখানে জন্ম গ্রহণ করেন এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী এ ভূখণ্ডে তারা বংশানুক্রমে বসবাস করছেন। বাঙগালী এবং বাংলা ভাষার অভূতপূর্ব পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তাঁরা। 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top