04/20/2025 তিব্র গরমে রাজশাহীতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ
রাজ টাইমস
২০ জুলাই ২০২২ ০৫:৪৬
রাজশাহীতে তিব্র গরমের কারণে রাজশাহীতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের গত ১৭ দিনে হাসপাতালে ১ হাজার ৩৭২ জন রোগী ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে জুলাই মাসের ১ তারিখে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৪৫ জন শিশুসহ ১৩০ জন রোগী ভর্তি ছিলো। ওই দিন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ শিশুসহ ৪৮ জন, ২ জুলাই ১৯ শিশুসহ ৪৫ জন (চিকিৎধীন ছিল ১১৯ জন), ৩ জুলাই ১৬ শিশুসহ ৪৬ জন (চিকিৎধীন ছিল ১২৮ জন), ৪ জুলাই ১৬ শিশুসহ ৩০ জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১০৭ জন), ৫ জুলাই ২২ শিশুসহ ৫৮ জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১১৩ জন), ৬ জুলাই ১১ শিশুসহ ৪৪ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১২৭ জন), ৭ জুলাই ১৪ শিশুসহ ২২ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১০৬জন), ৮ জুলাই ১৬ শিশুসহ ৪০ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬১ জন), ৯ জুলাই ৩৩ শিশুসহ ৫৭ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৭৯ জন), ১০ জুলাই ৫ শিশুসহ ১৫ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬০ জন), ১১ জুলাই ৯ শিশুসহ ১৯ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৪৭ জন), ১২ জুলাই ১৩ শিশুসহ ২৯ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬৬ জন), ১৩ জুলাই ৮ শিশুসহ ২৬ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৮১ জন), ১৪ জুলাই ১২ শিশুসহ ৩১ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৭৮ জন), ১৫ জুলাই ৮ শিশুসহ ২৩ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৭০ জন), ১৬ জুলাই ৫ শিশুসহ ২১ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬৮ জন) এবং গত রবিবার (১৭ জুলাই) ১৪ শিশুসহ ৩২ জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৮৭ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
রামেক হাসপাতালের এক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়েরিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর অধিকাংশ শিশু রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই ডায়েরিয়া থেকে শিশুরা দ্রুত সুস্থ হয় না। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ শিশুর এমন অবস্থা (সুস্থ হতে সময় লাগছে)।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে বেশ কিছুদিন থেকে (চলতি মাসে) তাপমাত্রা ৩৫-৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠানামা করছে। সেই সূর্য্যরে তাপও বেশ তীব্র। এই সময়ে শিশু কিংবা বয়স্কদেও ডি-হাইড্রেশন ও সান স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এই গরমে সবাইকে নিয়মিত ব্লাড প্রেসার চেক করার পাশাপাশি মাংসের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দিয়ে ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।