03/13/2025 প্রক্সির মূলে রাবি ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়
ডেক্স রির্পোট
৩০ জুলাই ২০২২ ০৪:৫৭
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়া ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজিদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রক্সির সাথে জড়িতদের নাম জানতে চাইলে বায়েজিদ রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নাম বলেন।
তন্ময় ও বায়েজিদ একই বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারি, ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্যসহ চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী। তন্ময়ের ব্যাংকে অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা লেনদেনের হিসেব পাওয়া গেছে। এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে।
রাবি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই ‘এ’ ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে প্রক্সির দায়ে চারজনকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদেরকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। দণ্ডিতরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার্থী এখলাসুর রহমান ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন, খুলনার কাজী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক সমীর রায় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান। বর্তমানে তারা রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ২০০ টাকা জমা দিয়ে রাবির অগ্রণী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলেন তন্ময়। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম ‘মুশফিক তাহমিদ তন্ময়’। এই অ্যাকাউন্টে ২০১৭ সালের ৭ই মার্চ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত তার হিসাবে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৮ টাকা জমা হয়। তবে সব টাকা তিনি তুলে নেন। মাদক কারবারির ও সরবরাহের তালিকায়ও রয়েছে তন্ময়ের নাম। ২০১৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ৪৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে শনাক্ত করে প্রতিবেদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদক অধিশাখা। এই তালিকার ১৬ নম্বরে তন্ময়ের নাম ছিলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাবি ছাত্রলীগের এক পদধারী নেতা বলেন, এর আগে কাজলা গেটের সামনে থেকে, শহীদ হবিবুর রহমান মাঠ থেকে মাদকসহ একাধিকবার প্রক্টরিয়াল বডি, আইনশৃংখলা বাহিনী তন্ময়কে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সে আবার ছাড়া পেয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান মিশু গণমাধ্যমকে বলেন, রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি কেনো তার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ দিচ্ছে না। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে তারা ভালো বলতে পারবেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, বায়েজিদ ধরা খাওয়ার পরদিন থেকে সে পলাতক রয়েছেন।
রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, তন্ময়ের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় ছাত্রলীগ নেবে না। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বিষয়টি অবহিত করছি।