10516

04/23/2025 রাবি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার, বাবার করা হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

রাবি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার, বাবার করা হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

রাজটাইমস ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০২২ ০৪:২২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিক্তা আক্তারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে ওই ছাত্রীর বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার বাদী হয়ে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি হিসেবে আগে থেকেই আটক ওই ছাত্রীর স্বামী আবদুল্লাহ ইশতিয়াক ওরফে রাব্বিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রিক্তা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। রিক্তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। তাঁর স্বামী আবদুল্লাহ ইশতিয়াক ওরফে রাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। আড়াই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দুজনে নগরের ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এ ঘটনার পর দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যই রাজশাহীতে এসেছে। ছাত্রীর বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার, চাচা দুলাল হোসেন, বোন জামাই হাফিজুর রহমান ও ছেলের বাবা ইউনুস আলী রাজশাহীতে এসেছেন।

ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকে দুজনের প্রেম ছিল। বিষয়টি উভয় পরিবারকে জানানো হয়। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে বিয়ে হবে। দুজনেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর রিক্তা আক্তারকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।

রিক্তা আক্তারের বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার বলেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিক্তাকে গৃহবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এ কারণে তাঁর মেয়ে ওই বাড়িতে যেত না। তিনিই মেয়ের খরচ বহন করতেন। তিনি মেয়েকে একটি মুঠোফোন কিনে দিয়েছেন, সেটিও তাঁর স্বামীর কাছে থাকত। নিজের মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁর স্বামীর মাধ্যমে কথা বলতে হতো। তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এ বাবার।

তবে আবদুল্লাহ ইশতিয়াকের বাবা ইউনুস আলী বলেন, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ দুজনেই লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকত। এ কারণে পুত্রবধূ ঝিনাইদহে কম আসত। তবে দুই-তিনবার এসেছে। ছেলেও যেত। গত বৃহস্পতিবার তিনি রাজশাহীতে গিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে থেকেছেন। তাঁদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। তাঁরা দুজনেই তাঁকে আপ্যায়ন করেছেন।

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী আবদুল্লাহ ইশতিয়াককে থানায় আনা হয়। এরপর মামলা হলে তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বিষয়ে ওসি বলেন, ময়নাতদন্ত হয়েছে। এখনো তাঁরা প্রতিবেদন পাননি।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]