03/14/2025 রাবির শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে 'হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু' কর্ণার উদ্বোধন
রাবি প্রতিবেদক
১০ আগস্ট ২০২২ ০৪:৫৫
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা'র ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে 'হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু' কর্ণার উদ্বোধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।
সোমবার (০৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। উদ্বোধন শেষে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দ্বিতীয় তলার গ্যালারি কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শর্মিষ্ঠা রায়ের সভাপতিত্বে লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী চন্দ্রিমা সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন,বঙ্গবন্ধর সুখ-দুঃখের সারা জীবনের সাথী ছিলেন বঙ্গমাতা। আজীবন দুঃখ কষ্ট সহ্য করে তার জীবন অতিবাহিত করেছেন। বঙ্গমাতার জীবনটাই ছিলো যুদ্ধে সংগ্রামে ভরপুর। ১৯৫৪ সালে দিকে ঢাকায় বাসা ভাড়া খুঁজতে গিয়ে কোথাও বাসা ভাড়া পাননি তিনি। বাসার মালিকরা বঙ্গবন্ধু স্ত্রী কথা শুনেই বাসা দিতে রাজি হতেন না। এমন আরও অনেক ধকলের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এসময় অত্র হলের শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গমাতাকে অনুকরণ ও তাকে নিয়ে গবেষণা করার আহবান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বঙ্গমাতা হলেন সেই ময়হসী নারী যখন তার পুতুল খেলার বয়স তখন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনে জড়িয়েছেন এবং সারাজীবন অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গেছেন। তার আদর্শে গড়ে উঠেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে বিশ্বের সকলের কাছে এক নামে পরিচিত। বাংলাদেশের স্বাধীন অর্জনের পিছনে বঙ্গমাতার প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। এসময় বঙ্গমাতার অন্যান্য গুণাবলিও তুলে ধরেন এ বক্তা।
এসময় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন,বঙ্গবন্ধু ও ফজিলাতুন্নেছার মধ্যে আত্মীক সম্পর্ক ছিলো অতুলনীয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছাার ধৈর্য ছিলো অসিম। তার ধৈর্য ও সাহসিকতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সংসার সুন্দরভাবে চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলো কর্মীদের দেখাশুনা ও খোঁজ খবর রাখতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনে সাহস জুগিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গমাতা সব সময় বঙ্গবন্ধুকে বলতেন 'তুমি শুধু আমার স্বামী হয়ে থাকার জন্য জন্মাওনি দেশের জন্যেও জন্মেছো'। বঙ্গমাতা সব সময় সহজসরল জীবনযাপন পছন্দ করতেন। ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বঙ্গমাতা ঘাতকদের রাইফেল হাতে নিয়ে তাদের উদ্যেশ্যে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা করেছো এখন আমাকে হত্যা করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে বঙ্গমাতার অবদান অতুলনীয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর, জনসংযোগ প্রশাসক প্রদীপ কুমার পান্ডে, হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী মহল, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দসহ শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।