10668

04/28/2025 অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ

অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ

রাজটাইমস ডেস্ক

১১ আগস্ট ২০২২ ০৬:০৪

জিম্বাবুয়ে চলতি সফরের শুরুতেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টানা দুই খেলায় ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও টাইগাররা হেরে যায়।

বুধবার হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন (৮০*) ও এনামুল হক বিজয়ের (৭৬) জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান করে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগিতকরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ১০৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে স্কোর বোর্ডে ৪১ রান জমা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়।

এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ওপেনার তামিম ইকবাল, তিনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও চারে ব্যাটিংয়ে নামা সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে।

প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৬২ ও ৫০ রান করা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরার আগে ৩০ বলে করেন ১৯ রান। শান্ত-মুশফিকরাতো রানের খাতা খোলার সুযোগই পাননি।

চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৯০ বলে ৭০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আগের দুই ম্যাচে ৭৩ ও ২০ রানে আউট হওয়া বিজয় এদিন ফেরেন ৭১ বলে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৭৬ রান করে।

বিজয় আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৫৭ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন রিয়াদ। আগের দুই ম্যাচে ২০* ও ৮০* রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহ এদিন টেস্টের আদলে ব্যাটিং করে ৬৯ বলে ৩৯ রানে ফেরেন।

রিয়াদের পর আফিফের সঙ্গে ৪৭ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে আউট হন অলরাউন্ডার মেহিদ হাসান মিরাজ। তিনি ফেরেন ২৪ বলে দুই চারে ১৪ রান করে। আগের ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। ফেরেন ১৫ রানে। দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ২৯ রান। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।

মিরাজ আউট হওয়ার পর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানরা। ২৪.৪ ওভারে দলীয় ১২৪/৪ রানের সময় ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেন আফিফ। তার ৮১ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় সাজানো ৮৫ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয়।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসে প্রথম দুই ওভারে ২ ওপেনারের উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। হাসান মাহমুদের গতির শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে অন্য ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে সাজঘরে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া পেসার এবাদত হোসেন নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৩ রানে ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজাকে পরপর দুই বলে আউট করেন।

এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি ইনোসেন্ট কায়াকে এলবিডব্লিউ অর টনি মুনিয়োঙ্গাকে স্ট্যাম্পিং করান।

এরপর জিম্বাবুয়ে শিবির টানা তিন আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার শিকার হয়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন লুক জঙ্গুয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে ও ব্র্যাডলি এভান্স।

জিম্বাবুয়ে শিবিরে শেষ পেরেকটি মারেন মোস্তাফিজ। তার আগে শেষ উইকেটে দুই পেসার রিচার্ড নাগরাভা ও ভিক্টর নাচুই ৫৮ বলে জিম্ববুয়ের হয়ে ৬৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন।

এর আগে ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শিঙ্গিরাই মাসাকাদজা ও ইয়ান নিকলস ৬০ রানের জুটি গড়ে ছিলেন। তাদের সেই রেকর্ড ১২ বছর স্থায়ী ছিল।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]