10855

05/02/2025 নুডুলস খেতে গিয়ে শিশুর গলায় বিঁধলো সেফটিপিন

নুডুলস খেতে গিয়ে শিশুর গলায় বিঁধলো সেফটিপিন

রাজটাইমস ডেস্ক

২৭ আগস্ট ২০২২ ০৬:১৪

মায়ের হাতে নুডুলস খেতে গিয়ে তিন বছরের শিশুর গলায় আটকে গেছে আস্ত একটা সেফটিপিন। এক্স-রে করার পর শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলাম (৩২)।

জানা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার বড় বাড্ডা এলাকার শফিকুল ইসলামের তিন বছরের মেয়ে জিদনী। গত বুধবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তার মা জুলেখা বেগম নুডুলস খাওয়ানোর সময় শিশুটির গলায় আটকে যায় সেফটিপিন। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটি বমি করতে শুরু করে। শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাকে পার্শ্ববর্তী বাঘা সদরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

রাতেই বাঘা সদরের সেবা ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট ডাক্তার শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়। এরপর শিশুটিকে রামেক হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা।

শিশু জিদনীর ভাই জানান, নুডুলস খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গলায় কি যেন আটকে যায়। সে তখনই বমি করতে শুরু করে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাঘার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন শিশুটির স্যালাইন চলছে। 

তবে শিশুটির খাবারে সেফটিপিন কিভাবে গেলো তা পরিস্কার নয়। ওই সেফটিপিন নুডুলসের প্যাকেটে ছিল, নাকি শিশুটির মায়ের ভুলে খাবারে মিশেছে তা নিশ্চিত বলতে পারেননি শিশুটির মা জুলেখা বেগম ও বাবা শফিকুল ইসলাম।

রামেকের ৩৩ ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, রোগীটি রাতেই ভর্তি হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মেই তার চিকিৎসা হওয়ার কথা থাকলেও তিনদিন ধরে পেডিয়াট্রিক ওএসফাগস্কোপ যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আমাদের এখানে সেই ফ্যাসিলিটি নাই। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী করলে রোগীর খাদ্যনালী ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদি ছিঁড়ে পরবর্তীতে ঠিক করা সম্ভব নয়। এতে জীবন মরণের ঝুঁকি আছে।

তিনি আরও বলেন, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেটি বের করার জন্য ওই যন্ত্রই লাগবে। এছাড়া সম্ভব না। তবে মেডিসিন চলছে, আপাতত রোগী সুস্থ আছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]