11018

03/29/2024 প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের অভিজ্ঞতা তিক্ত ও হতাশার- বিএনপি মহাসচিব

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের অভিজ্ঞতা তিক্ত ও হতাশার- বিএনপি মহাসচিব

ডেস্ক প্রতিবেদন

৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৭

ভারত সফরে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দিয়ে এসেছেন, কিছুই আনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খবর জাগো নিউজর।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। সাইফুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা এত তিক্ত, হতাশ হওয়ার মতো। প্রত্যেকবার দেখেছি অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে, নিরাশার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভারতকে দিয়ে এসেছেন কিন্তু নিয়ে আসেননি।

আমরা প্রত্যেকবার আশা করেছি যে এবার হয়তো প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসবেন। দেখেছি তিনি প্রতিবার দিয়ে আসেন কিছু আনেন না। সুতরাং আগে ঘুরে আসুক, কী আনেন দেখি তারপর মন্তব্য করবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ’৭৫ সালে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছিল তার আগে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। যারা (আওয়ামী লীগ) সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাস করতো না তারা বললেন আমরা সমাজতন্ত্রী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করব। তারপর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কোনো কাঠামোই তৈরি হলো না। যেটা তৈরি হলো সেটা হলো লুটপাটের অর্থনীতি। ’৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল সম্পূর্ণ লুটপাটের অর্থনীতি।

‘এখনো একই অবস্থা চলছে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে। রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, সেতু নির্মাণ হচ্ছে। যে সেতু এক বছরে নির্মাণ করা সম্ভব সেটা করছে ১০-১৫ বছরে। ঢাকা থেকে টঙ্গীর যে রাস্তা সেটা আজ ১০ বছর ধরে হচ্ছে।’

সাইফুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সাইফুর রহমান পড়াশোনা করেছিলেন হিসাববিজ্ঞানের ওপর। সে কারণেই কোনটা করলে লাভ হবে আর কোনটা করলে লাভ হবে না, আর কোনটা করলে ঋণগ্রস্ত হবো আর কোনটা করলে অনেক বেশি লাভবান হব সেটা তিনি খুব ভালো করে জানতেন। সেই কারণে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যে কাজটা দেশের জন্য ভালো মনে করতেন তিনি সেটাই করতেন। আর সেই কাজটা করার জন্য যা যা করা দরকার ছিল তিনি তাই করতেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আজ অত্যন্ত কঠিন একটি সময় অতিক্রম করছি। এ সময় সাইফুর রহমান থাকলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন। এই সরকারের যে মূল চেহারা সেটা উন্মোচনেও তিনি সক্ষম হতেন।

রিজার্ভ-জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ অন্যান্য সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, যে কাজটা দশ হাজার টাকায় হবে সেটা তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করছে। বাকি চল্লিশ হাজার টাকা তারা (সরকার) নিজেরা ভাগ করে চুরি করে খাচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাইফুর রহমান শুধু রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তারা ইভিএমের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতাদের লুট করা আর লুট করে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা, ধনী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সাইফুর রহমান ইচ্ছে করলে এই সুযোগ করে দিতে পারতেন। কিন্তু দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে একটি লোকেরও এই সুযোগ করে দেননি তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, নাজিমুদ্দিন আলম ও কামরুজ্জামান রতন বক্তব্য দেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]