11151

04/30/2025 ভারি অস্ত্রের গুলিবর্ষণের শব্দে নির্ঘুম রাত কাটে সীমান্তবাসীর

ভারি অস্ত্রের গুলিবর্ষণের শব্দে নির্ঘুম রাত কাটে সীমান্তবাসীর

রাজটাইমস ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৪৮

একের পর এক মর্টারশেল এবং ভারি অস্ত্রের গুলিবর্ষণের শব্দ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে। এ যেন নিত্য দিনের ঘটনা। ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবাসীর। খবর যুগান্তরের।

 

বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে থেমে থেমে ভারি অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা গেলেও দুপুর ১২টার দিকে বাড়তে থাকে মর্টারশেলের গোলা বিস্ফোরণের আওয়াজ।

এদিকে মর্টারশেলের আওয়াজে আতঙ্কিত হলেও তুমব্রু সীমান্তের স্থানীয়রা গুলির শব্দের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, আবার অনেকেরই কাটছে নির্ঘুম রাত। বিস্ফোরণের আওয়াজে সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আতঙ্ক যেন কিছুই কাটছে না।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকা থেকে বাইশফাঁড়ি পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বসবাসরত ৩শ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রমও এখনো শুরু হয়নি।

এদিকে স্থানীয় কৃষক জুমচাষিরাও আছে আতঙ্কে আছেন। তাদের ক্ষেত-খামারেও যেতে না পায়ায় জীবন হয়ে উঠছে কঠিন, থমকে যাচ্ছে তাদের নিত্যেদিনের কাজকর্ম। শুধু চাষিরা নয়, এ প্রভাব প্রকট ধারণ করেছে স্থানীয়দের জীবনযাত্রায়ও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, চাকমা পাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ তৈরি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। সীমান্ত চৌকিগুলো থেকে আশপাশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি টহলও। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হতে আশ্বস্তের কাজ করছে।

স্থানীয় সীমান্তে বসবাসরত যুবক বেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সীমান্তের উত্তেজনায় কাটছে নির্ঘুম রাত। কোনোদিন বাবা কোনো দিন ভাই নির্ঘুম রাত কাটিয়ে বাড়ির অন্যদের নিরাপত্তার জন্য সতর্ক থাকেন বলে জানান। এভাবে সীমান্তের উত্তেজনায় অনেকেই আছে নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র আত্মীয় স্বজনের বাসা বাড়িতে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, আগেরদিন সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে সাড়ে ৯টা থেকে দফায় দফায় ভারি অস্ত্রের ফায়ারিং এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকারি বাহিনী এবং সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যকার হামলার ভয়াবহতা কমেনি। তাই তুমব্রু সীমান্তের এপারে বিকট শব্দের মাত্রা বেড়ে চলেছে, কিন্তু এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বুধবার গোলাগুলির শব্দ খুবই কম শোনা গেলেও বৃহস্পতিবার তা বেড়ে গেছে। তবে সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক করণীয় বিকল্প চিন্তাভাবনাও রয়েছে সরকারের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

নিউজের লিঙ্ক

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]