11158

04/24/2024 খুঁড়িয়ে চলছে হাইটেক পার্কের কাজ

খুঁড়িয়ে চলছে হাইটেক পার্কের কাজ

রাজটাইমস ডেস্ক

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩১

দেশের প্রযুক্তি খাতের উৎকর্ষতার উদ্যোগ হিসেবে নেয়া হয় হাইটেক পার্ক নির্মানের পরিকল্পনা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও কাজ এগিয়ে চলছে ধীর গতিতে। খবর বণিক বার্তার।

গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল, ইন্টেল, আসুস থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রস্থল যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি। তবে উচ্চ শুল্ক, আবাসন ও কার্যালয় ভবনের জন্য অত্যধিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রযুক্তিভিত্তিক সবচেয়ে বৃহৎ ওই বাণিজ্য কেন্দ্র ছাড়ছে। এদের কেউ কেউ তাদের উৎপাদনকেন্দ্র স্থানান্তর শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ভারতে। এছাড়া চীনভিত্তিক বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও স্বল্প খরচে কার্যক্রম চালানো যায় এমন সব দেশে কারখানা স্থানান্তর করছে। আর এসব বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসে সে জন্য নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। এমনকি সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এ দেশে বিশ্বমানের পরিবেশ দিতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ)। নির্মাণ করা হচ্ছে ৯২টি পার্ক। এর মধ্যে ৯টিতে চালু হয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। তবে যে আশার আলো ছড়িয়ে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছিল সময়ের আবর্তে তাতে কিছুটা মেঘ জমেছে। শ্লথগতিতে চলছে সব কাজ। যদিও নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণে থেমে নেই সংস্থাটি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে থাকলেও একের পর এক নতুন প্রকল্প নিয়েই বেশি আগ্রহ কর্তৃপক্ষের।

জানা গিয়েছে, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন দুটি হাই-টেক পার্ক, তিনটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও চারটি আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে বর্তমানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া একটি হাই-টেক পার্কসহ মোট ৪৮টি আইটি পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণাধীন। আরো ৩৫টি পার্কের প্রকল্প অনুমোদন পেলেও কাজ শুরু হয়নি। এর মধ্যেই আবার আরো ৮৭টি নতুন পার্ক গড়ার পরিকল্পনা করছে বিএইচটিপিএ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই এ উদ্যোগ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ৩৫৫ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম হাই-টেক পার্ক ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈর’। পার্কটিতে মোট ৮০টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস) ডিভাইস, দুটিতে অপটিক্যাল ফাইবার ও দুটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল তৈরি করছে। ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করায় চীনভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডকে ১ লাখ ৬৫ হাজার বর্গফুট রেডি স্পেসসহ ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত বিদেশী এ প্রতিষ্ঠান দৃশ্যমান কোনো কাজই শুরু করেনি। শুধু ওরিক্স বায়োটেকই নয়, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির জায়গা বরাদ্দ নেয়া কোম্পানিগুলোর একটা বড় অংশ তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেনি। ফলে পার্কটিতে কর্মসংস্থানের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

বিএইচটিপিএর তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ৪১ হাজার ২৬৯ জনের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। অথচ এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের কিছু বেশি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পার্কটির ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মাহফুজুল কবির বণিক বার্তাকে বলেন, কম-বেশি যেসব কোম্পানিকে আমরা স্পেস দিয়েছি এর মধ্যে একটা বড় অংশই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আর যারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ শুরু করছে না, তাদের নোটিস দেয়া হচ্ছে। কিছু কোম্পানিকে আমরা বাতিলও করে দিচ্ছি। যেসব কোম্পানির কোনো পর্যায়ে কোনো ধরনের প্রগ্রেস নেই তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি একটা চলমান প্রক্রিয়া। ওরিক্স বায়োটেক প্রসঙ্গে এ কর্মকর্তা বলেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ওরিক্সের যে অবকাঠামো নির্মাণ করবে, সেটির জন্য ডিসি কমিটি (জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি) থেকে অনুমোদন নেয়ার দরকার হয়। তারা (ওরিক্স) প্ল্যানটা ডিসি কমিটিতে জমা দিয়েছে। ওটা অনুমোদনের পরই প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আইসিটি শিল্পের বিকাশ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে পথচলা শুরু করে যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এটিকে ঘিরে চাকরিপ্রত্যাশীদের স্বপ্ন ছিল, দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি এলে ঘুচবে তাদের বেকারত্বের অভিশাপ। অথচ এ পার্কেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী। অর্থাৎ ৫ হাজারের জায়গায় এখন পর্যন্ত কর্মসংস্থান হয়েছে কেবল ১ হাজার ৬০০ জনের। তাও আবার মানসম্পন্ন বেতন পান না সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরতরা। হাই-টেক পার্কটিকে ১৫ বছরের জন্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ‘টেকসিটি বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। টেকসিটি যশোরের এজিএম শাহরিয়ার বিশ্বাস বলেন, যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্কটি এখন অনেকটাই সচল। এখানে ৫০টি প্রতিষ্ঠান জায়গা বরাদ্দ নিয়েছে। এর মধ্যে কার্যক্রমে রয়েছে ৩২টি, ৮-১০টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনকৃত সফটওয়্যার বিদেশে রফতানি করছে।

যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ফিরোজ আহমেদ বলেন, পার্কটিতে প্রত্যক্ষভাবে ১ হাজার ৬০০ লোকের বেশি কর্মরত রয়েছেন। তবে পরোক্ষভাবে সংখ্যাটা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। কারণ আমাদের এখানে যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, পার্কের বাইরেও তাদের বিশাল কর্মীবাহিনী রয়েছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ১৬২ দশমিক ৮৩ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, সিলেট’। সেটিও এখনো তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। সেখানে স্পেস ও জমি বরাদ্দ নেয়া কোম্পানিগুলোর একটা বড় অংশই অবকাঠামো নির্মাণে হাত দেয়নি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আবার শুরুর আগেই নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। ফলে বাস্তবায়নের যে উদ্দেশ্য ছিল সেটির প্রতিফলন ঘটছে না। এ প্রসঙ্গে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা এসএম আল মামুন বলেন, বেশকিছু কোম্পানি এরই মধ্যে তাদের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে। তবে কেউ এখনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেনি। ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হলেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্থাপন করা হয়েছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। কুয়েটে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে পুরোদমে পাঁচটি কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যদিও শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটিতে স্টার্টআপ কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৩৯টি, সেটি কমে ৫-৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে কুয়েট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের এখানে বর্তমানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এখানে ৩৯টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ছিল। কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে আমরা কিছু বাতিল করছি। সেই সঙ্গে নতুন স্টার্টআপকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান।

উদ্বোধন হলেও এখনো চুয়েটের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের কার্যক্রম চালু হয়নি পুরোদমে। এখানেও জায়গা বরাদ্দ পাওয়া কোম্পানিগুলো তাদের ব্যাবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেনি। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক বলেন, এখন পর্যন্ত ছয়টি কোম্পানিকে এখানে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেগুলো তাদের অফিসের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ পরিচালনা করছে। আশা করি, আগামী মাসের মধ্যে তারা কার্যক্রম শুরু করবে। এছাড়া পাঁচটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিনটি গত মাস থেকে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে দক্ষ কর্মীর সংকটের কারণে ঢাকার বাইরের পার্কগুলোতে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি স্থানান্তর করা যাচ্ছে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। তিনি বলেন, হাই-টেক পার্কের সুবিধাগুলো প্রশংসার বিষয়, এর উদ্যোগটা অবশ্যই ভালো। তবে মনে রাখতে হবে আমাদের মতো সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির মূল বিষয়ই হচ্ছে দক্ষ কর্মী। আর সে কারণেই আমাদের কোম্পানিগুলো ঢাকাকেন্দ্রিক। কারণ আমরা এখানে পর্যাপ্ত লোক পাই। ঢাকার বাইরে দক্ষ কর্মীর চ্যালেঞ্জটা মোকাবেলা করতে হয়। তাই ভালো উদ্যোগগুলো আরো ভালো হবে যদি সমন্বিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়। তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে পিওর সফটওয়্যার ডেভেলপার খুব একটা নেই। সেখানে কল সেন্টার আছে, হার্ডওয়্যার ডেভেলপার আছে, অর্থাৎ যে রিসোর্সটা সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু একজন প্রোগ্রামার, ডেভেলপার কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার—এগুলো সেখানে পাওয়াটা অনেক কঠিন। সুতরাং দক্ষ কর্মী না পাওয়া গেলে ঢাকার বাইরের হাই-টেক পার্কগুলোতে যাওয়াটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেজন্য নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে সমন্বিত পথনকশা তৈরি করতে সম্প্রতি শ্রীমঙ্গলে ছয় দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে নয়টি দপ্তর ও সংস্থার ৭৩ জন কর্মী অংশ নেন। আইসিটি বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি দপ্তর ও বিভাগই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে উপস্থাপন করে আলাদা আলাদা পথনকশা। সেখানে মোট ৯৭টি নতুন উদ্যোগ স্থান পায়। এর মধ্যে বিএইচটিপিএর উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে পাঁচটি হাই-টেক পার্ক, ১৫টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও ৬৭টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন।

নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়ার কারণে পুরনোগুলোতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে বিএইচটিপিএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, সময়সীমার আগেই আমাদের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। ফলে নতুন উদ্যোগের কারণে আগেরগুলোয় কোনো ধরনের প্রভাব পড়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এগিয়ে যাক, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাক। সে লক্ষ্যে দেশের তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান বাড়াতে চাই। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি প্রযুক্তি খাত থেকে ভালো কর্মসংস্থান হবে, অর্থনীতি এগিয়ে যাবে এবং জিডিপির একটা বড় অংশই আসবে।

এ প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম (পিএএ) বলেন, হাই-টেক পার্কের নেয়া উদ্যোগগুলো একদিনে হচ্ছে না। টাইম টু টাইম এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর যেখানে যেটা প্রয়োজন, ধীরে ধীরে আমরা করে ফেলব। সুতরাং আগের নেয়া উদ্যোগে নতুন পরিকল্পনার জন্য কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।

এ বিষয়ে জানতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

নিউজের লিঙ্ক

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]