04/20/2025 গুরুদাসপুরে ধর্ষক প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
রাজটাইমস ডেস্ক
৪ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৫৭
নাটোরের গুরুদাসপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণকারী প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আয়োজনে নাজিরপুর বাজারে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ফিরোজ আহমেদ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে ও নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভুক্তভোগী ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবকগনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ফিরোজ ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিভিন্ন রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দিয়ে জোড় করে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে রাজশাহীতে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এরপরে জোড় করে একাধিকবার ধর্ষন করে ওই ছাত্রীকে। ভুক্তভোগী ছাত্রী নিষেধ করলেও ক্ষান্ত হয়নি পাষণ্ড প্রধান শিক্ষক। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দেওয়া হবে। গ্রেফতার করে শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, অপহরণের পরে রাজশাহীতে ভাড়া বাসায় নিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তিনবার ধর্ষণ কওে ওই ছাত্রীকে।
ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট মেয়ে তারই স্কুলের ছাত্রী। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে ফিরোজ জোড়পূর্বক রাজশাহীতে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারপূর্বক দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন তিনি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রী ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে গেলে পরীক্ষা শেষে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ফিরোজ। এঘটনায় রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্রীর মা নাদিরা বেগম বাদি হয়ে ফিরোজ আহমেদসহ তার দুই ভাই ফেরদৌস (৪৫) ও ফেন্সি (৪৩) কে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু করে। এরপরে রবিবার বেলা ১১টার দিকে নাজিরপুরের একটি বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি।