11343

05/01/2025 আশার আলো নেই বিদ্যুৎ খাতে

আশার আলো নেই বিদ্যুৎ খাতে

রাজটাইমস ডেস্ক

১১ অক্টোবর ২০২২ ১৫:১৮

সহসায় হচ্ছে না দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান। সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে নির্দিষ্ট কোন বার্তাও আসে নি। এদিকে দিনের পর দিন বাড়ছে লোডশেডিং। খবর বণিক বার্তার।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে চলতি বছরের মার্চ থেকে ৫ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে রাত ৮টার পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও কার্যকর রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার নির্দেশনা রয়েছে। এসব উদ্যোগেও বিদ্যুতের চাহিদা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। বরং তা আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়েছে।

শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করে আনার কোনো সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন না জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টরা। পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করে বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, চলমান গ্যাস সংকটের দ্রুত কোনো সমাধান নেই। স্থানীয় সরবরাহও রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব হবে না। আবার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে শিগগিরই স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি ক্রয় শুরুর সুযোগ নেই। জ্বালানি বিভাগও এখন এত বেশি দামে এলএনজি কিনতে আগ্রহী নয়। যেসব দেশ থেকে গ্যাস আমদানি বৃদ্ধির বা নতুন করে আমদানির পরিকল্পনা করা হচ্ছিল, সেসব দেশও ২০২৫ সালের আগে সরবরাহ-সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছে। গ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ নিয়ে এ পরিস্থিতির মধ্যেই দিন পার করতে হবে।

আশাবাদী হতে পারছেন না বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরাও। বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম না কমা পর্যন্ত এ পরিস্থিতির দ্রুত কোনো সমাধান নেই। এখন একটা সমাধান থাকতে পারে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত নিয়ে আসা গেলে। কিন্তু সেখানেও আরো কিছু সময় লাগবে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো এক-দেড় বছর সময় লাগতে পারে।

গ্যাস সংকটজনিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন জ্বালানি তেলের বাজারেও চাপ ফেলছে। দীর্ঘ সময় লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর গণপরিবহন ও নিত্যপণ্যের বাজারে মূল্যস্ফীতিতে মারাত্মক আর্থিক চাপে পড়েছেন ভোক্তারা। এর মধ্যেই জ্বালানি তেলের ভোক্তা চাহিদা আরো বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যেই গ্যাসে সাশ্রয় করতে না পেরে জ্বালানি তেলভিত্তিক রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হচ্ছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি আর্থিক চাপও এখন বিদ্যুৎ খাতের জন্য বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় খাতটিতে লোকসান কমাতে ক্যাপাসিটি চার্জের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়ন বা নতুন চুক্তির আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের ভর্তুকি ছাড়সংক্রান্ত এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়।

নিউজের লিঙ্ক

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]