12010

05/19/2024 রান্নাবান্না মাঠে, ঘুমও মাঠে

রান্নাবান্না মাঠে, ঘুমও মাঠে

রাজটাইমস ডেস্ক

১২ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৫৩

ফরিদপুরে সব ধরণের গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় দু'তিন দিন আগে থেকেই বিভাগীয় সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ফলে থাকা আর খাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়ে এসেছে তারা।  খবর যুগান্তরের।

আজ শনিবার, শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। শুক্রবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারা কুশলবিনিময় করেন।

এদিকে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় কার্যত বিচ্ছিন্ন ফরিদপুর। তবুও সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বাস ধর্মঘট ডাকায় ফরিদপুর বিভাগের ৫ জেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা ৩ দিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।

বেশিরভাগ নেতাকর্মী সমাবেশের মাঠেই রাতযাপন করেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও তাদের সঙ্গে থাকেন। মাঠের পাশেই চলে রান্না। অনেক নেতাকর্মী তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় উঠেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কৃষক দলের নেতাকর্মীদের চায়না প্রজেক্টে থাকা ও খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ দিন আগেই গণসমাবেশের মাঠে হাজির হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাতে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সমাবেশস্থলের অধিকাংশ ভরে গেছে। আগের রাতে সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাত্রিযাপন করেছেন।

মাঠের পাশে ১০টি চুলায় খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছে। চট ও পাটি বিছিয়ে নেতাকর্মীরা মাঠেই রাতযাপন করেন। কিছু নেতাকর্মী থাকেন বিদ্যালয়ের বারান্দাতে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা মাঠের ভেতরেই নানা স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন।

রাজবাড়ির পাংশা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বাদশা মণ্ডল জানান, বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে তারা সমাবেশে এসেছেন। আসার পথে বাহির দিয়া ব্রিজ এলাকায় পুলিশ তাদের মাহেন্দ্রটি থামায়। পরে চেক করে ছেড়ে দিয়েছে।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা থেকে সমাবেশস্থলে এসেছেন উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া। তিনি বলেন, বাস বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার রাতেই আমরা চলে এসেছি। মাঠেই রাতযাপন করছি। খাওয়া-দাওয়া হয় মাঠেই।

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা থেকে প্রক্ষাগাতগ্রস্ত মো. মতিয়ার নামের পঞ্চাশ বছর বয়সী এক নেতা লাঠি ভর করে কিছুটা পথ হেঁটে ও মাহেন্দ্রে করে সমাবেশস্থলে এসেছেন।

শুক্রবার রাতে মাঠে কথা হয় যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সমাবেশের সহ-সমন্বয়ক মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকুর সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কতটা ত্যাগ শিকার করছেন তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। দূর-দূরান্ত থেকে নানা ভোগান্তি পেরিয়ে তারা সমাবেশে আসছেন। খেয়ে না খেয়ে মাঠেই অবস্থান করছেন। নেতাকর্মীদের এমন ত্যাগ এবার বিফলে যাবে না।

গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ সমাবেশ মাঠে যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। সব প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ হবে।

কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল যুগান্তরকে বলেন, ফরিদপুরে থাকার ভালো হোটেল নেই। তাছাড়া এত নেতাকর্মীর থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় শামিয়ানা টানিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব বাধা উপেক্ষা করে গণসমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ হবে বলে জানান তিনি।

যুগান্তরের প্রতিবেদনটির লিঙ্ক

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]