1225

04/19/2024 উত্তরাঞ্চলে বেসরকারি খাতে কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা আশু প্রয়োজন

উত্তরাঞ্চলে বেসরকারি খাতে কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা আশু প্রয়োজন

বিশেষ প্রতিনিধি

৭ অক্টোবর ২০২০ ০০:৩০

কৃষিভিত্তিক শিল্পের উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য উত্তরাঞ্চলে বেসরকারি খাতে একটি কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা আশু প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের সাধারণ কৃষিজীবী মানুষদের একটি কর্মক্ষম শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এই ব্যাংকটি কার্যকর অবদান রাখতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের বরেন্দ্র ভূমিকে বরাবরই দেশের ‘খাদ্যভাণ্ডার’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু এও বরাবরের মতো লক্ষণীয় যে, এই খাদ্যভাণ্ডার আজো যথেষ্ট পরিমাণে পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত থেকেছে। বিশেষত কৃষি ও কৃষিসংশ্লিষ্ট খাতগুলোর সমৃদ্ধি ও আধুনিকায়নে নীতিনির্ধারকদের প্রয়োজনীয় দৃষ্টি আকর্ষণে অসমর্থই থেকে গেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই পরিচর্যাকে সমৃদ্ধ করতে আরো আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি জরুরি। এই সঙ্গে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য আরো একটি কৃষি ব্যাংক স্থাপনের বিপুল সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
এই অঞ্চলে বিশেষায়িত আঞ্চলিক ব্যাংক হিসেবে একমাত্র রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ‘রাকাব’ কৃষিসংশ্লিষ্ট খাতে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই ব্যাংকের অবদান মূলত ঋণ প্রদান, আর্থিক গতি বৃদ্ধি এবং সীমিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি। তবে সরকারি ব্যাংক হওয়ায় তা সেভাবে খোলামন ও জবাবদিহিতা নিয়ে অবদান রাখতে সমর্থ নয়। কৃষি খাতে ‘রাকাব’ ছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের বিনিয়োগ কম। তাছাড়া এই অঞ্চলে কার্যরত ব্যাংকগুলোর আমানত সংগ্রহের তুলনায় স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। ঢাকা-চট্টগ্রামের দিকে যার পরিমাণ বেশি।
অপরদিকে বিগত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যায় যে, ক্ষুদ্রঋণের কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী এনজিওগুলো প্রকারান্তরে দাদন ব্যবসা চালাচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ কৃষক, মৎসজীবী, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগলের খামারিরা এই ঋণের জালে আটকা পড়ে থাকছে। ফলে ঋণ গ্রহণ সত্ত্বেও এদের অবস্থানের উন্নতি খুব কমই হয়ে থাকে। এটি বেজায়রকম শোষণমূলক পদ্ধতি হিসেবে ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। আবার সরকারও এই খাত থেকে তেমন রাজস্ব পেতে পারে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয় গ্রামীণ মহাজনদের দাদন ব্যবসা। বলতে গেলে কৃষকরা একাধারে মহাজনি ঋণ, এনজিও এবং ব্যাংক ঋণের ত্রিমুখি জালে আটকা থাকে। এই স্রোতের মুখ কেবল কৃষি ব্যাংকের দিকে ফিরাতে পারলে তাতে কৃষক প্রকৃত উপকার পেতে পারবে বলে আশা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, ‘গ্রামগুলি শহরের সুবিধা পাবে।’ কিন্তু বিদ্যমান ব্যাংগুলোর এই সুবিধা বৃদ্ধিতে সেই মানসিকতা নেই। যেটি করা একটি বেসরকারি কৃষি ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব। এই অঞ্চলে কৃষি ব্যাংকের মতো এরকম আরেকটি ব্যাংক বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠা পেলে সেই শূন্যতা পূরণ করতে, কৃষকের জন্য সেবা প্রদানে এবং আর্থিক গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এতে মহাজনী ঋণ ও এনজিও নির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।
জনশক্তির অপচয়ের বর্তমান পরিস্থিতি
বরেন্দ্র অঞ্চলের জমি ভীষণরকম উর্বর। সাধারণভাবে মানুষেরা সহজ-সরল ও অল্পে তুষ্ট। গড়পড়তা মানুষ কোনো না কোনোভাবে কৃষিসংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জীবন নির্বাহ করে থাকে। তবে সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই সীমিত। ফলে বিপুল কর্মশক্তি ব্যয় হয় অতি সাধারণ কাজে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ^বিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চ ডিগ্রিধারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এই জনশক্তি তার ডিগ্রির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কাজের জন্য আশাবাদী হয়ে বসে থাকে দিনের পর দিন বছরের পর বছর। এর ফলেও কর্মশক্তি ও কর্মসময়ের বিপুল অপচয় ঘটে। অথচ এই জনশক্তিকে সামান্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অনুশীলনের মাধ্যমে উচ্চ-উৎপাদনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বেসরকারি খাতে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে তার মাধ্যমে এই জন ও কর্মশক্তিকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। সেজন্য ক্ষুদ্র ঋণের প্রচলিত ধারণার মধ্যে সম্ভাবনাময় জনশক্তিকে আটকে রাখার পরিবর্তে তাকে যথাযোগ্য কর্মশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার কাজে লাগানো যায়। এই সঙ্গে ঋণের ত্রিমুখি-বহুমুখি ধাঁধাঁর মধ্যে যাতে কৃষিজীবী মানুষেরা আটকে না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি।


গুরুত্ব পায় না যে খাতগুলি
বরেন্দ্র অঞ্চলের কেন্দ্রভূমি রাজশাহী অঞ্চলে অবস্থিত ব্যাংগুলির কৃষিসংশ্লিষ্ট খাতে ঋণ বিতরণের কিছু না কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকে। কিন্তু কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থ প্রদানের হার খুবই নিম্ন বলে দেখা যায়। যেমন, ২০২০ সালের জুন মাসের হিসাবে দেখা যায়, কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ ৩৪টি ব্যাংকের মধ্যে একমাত্র ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড আড়াই লাখ টাকা মতো বিতরণ করেছে। এমনকি কৃষি ঋণ বিতরণ কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা জনতা ব্যাংক এবং বিশেষায়িত ব্যাংক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘরও শুন্য এই খাতে। প্রসঙ্গত, এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় ঋণ প্রদানের জন্য কোনো পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। পশুসম্পদ ও পোল্ট্রি খাতে কিছু অবদান রেখেছে বিআরডিবি, উত্তরা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ব্যাংক। তাও এর মোট পরিমাণ দুই কোটি টাকার মধ্যে সীমিত। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার মধ্যে এই খাতে শতকরা ১০ ভাগ অন্তত ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণ খাতের অবস্থাও তথৈবচ। মাত্র দুটি ব্যাংক এই খাতে ঋণ দিয়েছে- যার মোট পরিমাণ সাকূল্যে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংকগুলি তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি প্রদর্শন করে থাকে মূলত ফসলী ঋণ দিয়ে। তথাপি দেখা যায়, উল্লিখিত সময়কালে এক সোনালী ব্যাংক ছাড়া অন্যদের সাফল্য খুবই কম। আর যারা শতকরা হারে ‘সাফল্য’ অর্জন করেছে তাদের বরাদ্দ ও লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ খুবই কম। সবমিলিয়ে ৩৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৪টি ব্যাংকের মোটামুটি সবগুলো খাতে কিছু না কিছু বিনিয়োগ দেখা যায়। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে কৃষি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে শতকরা ৪৩ থেকে ৮৩ ভাগের মধ্যে ঋণ আদায়ে সমর্থ ব্যাংকের সংখ্যা মাত্র ৫টি।
কর্মের বিপুল সম্ভাবনা
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিক্ষেত্রে যে বিপ্লব ঘটেছে তার অনেককিছুই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ অবগত হতে পারছে। কিন্তু বৃহত্তর পরিকল্পনা ও প্রকল্পের বেলায় সেসবের প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না। বরেন্দ্র অঞ্চলে এর পূর্ণ সম্ভাবনাও রয়েছে। এজন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। প্রচলিত কৃষিসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলির মধ্যে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহ বিদ্যমান তার মধ্যে রয়েছে, শস্য ও ফসল উৎপাদনে বীজ ও চারা উৎপাদন ও রোপণ, নিড়ানি ও সেচ প্রদান, ফসল রোগ-বালাইমুক্ত রাখা, ফসল কর্তন ও মাড়াই এবং পরিবহণ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ফসলে রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার যথাসম্ভব পরিহার করে প্রাকৃতিক পদ্ধতি প্রয়োগে উদ্যোগী করতে যে বিপুল কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি হবে তাতে এক বিরাটসংখ্যক জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে হাজামজা পুকুর সংস্কার, পোনা উৎপাদন, দেশি জাতের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির নিত্যনতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন, কৃত্রিম খাবারের পরিবর্তে জৈব খাবার প্রয়োগ, মাছ ধরার উপকরণ তৈরি প্রভৃতির সুযোগ সম্প্রসারিত করা সম্ভব। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া, হাঁস-মুরগি, টার্কি-তিতিরসহ গবাদিপশু পালনের খামারগুলির আধুনিকায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মালিক ও কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, কৃত্রিম উপায় ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশি ও স্বাভাবিক পদ্ধতির ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান, দুগ্ধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে। মৌসুমী ও দেশি ফলমূলের উৎপাদনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে সেসকল প্রযুক্তির আমদানি করে তাতে বিপুল জনশক্তিকে নিয়োজিত করা সম্ভব। স্বল্প পরিমাণ জমিতে কীভাবে বেশি ফলনের নার্সারি তৈরি করা যায় সেই কৌশল প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও কৃষিতে সৌরশক্তির ব্যবহার, কম্পোস্ট সার উৎপাদন, শস্য/ফসল গুদাম ও বাজারজাতকরণ, টিস্যু কালচার, মধু চাষ, মাশরুম চাষ, রেশম চাষ, তুলা চাষ প্রভৃতির বিপুল সম্ভাবনাও রয়েছে বরেন্দ্রভূমিতে। এসব খাতেও প্রশিক্ষিত জনশক্তি কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

বেসরকারি খাতের কৃষি ব্যাংকের সম্ভাবনা
বর্তমানে প্রচলিত মহাজনী ঋণ থেকে কৃষককে শুধু মুক্ত করাই নয়, স্থানীয় সম্ভাবনাকেও কাজে লাগাতে হবে, এর অভিমুখ ফিরিয়ে দিতে হবে কৃষিকেন্দ্রিক ক্ষুদ্র শিল্প-সম্ভাবনাকে ব্যবহার করে। এজন্য সর্বাগ্রে গুরুত্ব পাবে কৃষির আধুনিকায়ন। যা এসময়ে খুবই জরুরি। এই ব্যাংকের কাজের মধ্যে যেসকল কর্মপদ্ধতি থাকতে পারে তা এরকম: কৃষি যন্ত্রপাতি সুলভ মূল্যে ও সহজ পদ্ধতিতে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া যাবে। এই অঞ্চলে পৃথক কৃষি মার্কেট প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কৃষিপণ্য দূর-দূরান্তে প্রেরণের বহুমুখি পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং এর দরজা খুলে যাবে। বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তি তার বিদ্যমান সক্ষমতার ব্যবহার করতে পারছে না প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রের অভাবে। তারা ক্ষুদ্র ও নিম্নমানের কাজে তাদের শক্তির অপচয় করছে। ব্যাংকের উদ্যোগে এই কর্মশক্তিকে উন্নত দক্ষতায় উপনীত করা যাবে। বিদ্যমান ব্যাংকগুলি শুধু তাদের জনশক্তিকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কৃষিসংশ্লিষ্টদেরও উৎপাদনকাজে এই প্রশিক্ষণ দেয়ার সুযোগ তৈরি করা যাবে। এই অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ, খামার ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার, উৎপাদিত পণ্য বিপণন প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যাবে। প্রতিটি উৎপাদকের হাতে যাতে অর্থ পৌঁছানো যায় এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় সেই ব্যবস্থা করাই হবে এর প্রধান লক্ষ্য।
এধরণের একটি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘বরেন্দ্র ব্যাংক’ (একটি কৃষি ও কর্মসৃজনমূলক ব্যাংক)। মোটাদাগে এর কার্যক্রম হবে সাধারণ কৃষিঋণ বিতরণ ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে আরো বেশি সক্রিয়তা, পুরো কৃষিব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করা এবং প্রতিটি কৃষক ও কৃষিসংশ্লিষ্ট মানুষকে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদেরকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে রূপান্তরিত করা।

 

আন্দালীব/06

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]