12368

04/29/2024 পোশাক রপ্তানিতে ফের দ্বিতীয় বাংলাদেশ

পোশাক রপ্তানিতে ফের দ্বিতীয় বাংলাদেশ

রাজটাইমস ডেস্ক

২ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৪৫

পোশাক শিল্পে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাজারে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে আবারো দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এর আগে, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে তৃতীয় অবস্থানে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিল।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বুধবার প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য পরিসংখ্যান পর্যালোচনা-২০২২ এ দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানিতে ভিয়েতনামের অংশ ২০২০ সালের ৬.৪০ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৫.৮০ শতাংশে নেমে গেছে। বৈশ্বিক আরএমজি বাজারে বাংলাদেশের অংশ অবশ্য ২০২০ সালে ৬.৩০ শতাংশ থেকে গত বছর ৬.৪০ শতাংশে উন্নীত হয়। এ অনুপাত ২০১৯ সালে ৬.৮০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬.৪০ শতাংশ।

ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে আরএমজি রপ্তানি দৃঢ়ভাবে বেড়েছে এবং বার্ষিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। ২০২০ সালে এই রপ্তানি একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছিল এবং ভিয়েতনামের আরএমজি রপ্তানির ৭ শতাংশ বৃদ্ধির বিপরীতে বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বাজারে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৪.২০ শতাংশ, তখন ভিয়েতনামের অংশ ছিল ২.৯০ শতাংশ। চীন ২০২০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বাজারে দেশটির অংশ ৩১.৬০ শতাংশ থেকে গত বছরে ৩২.৮০ শতাংশে উন্নীত করে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে।

ডব্লিউটিওর প্রকাশনা অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরএমজির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব রপ্তানিকারক। সুতরাং প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম বিশ্ব আরএমজি রপ্তানিকারক দেশ এবং ভিয়েতনাম চতুর্থ।

ইইউর সম্মিলিত রপ্তানি পরিসংখ্যান দেশভিত্তিক আলাদা করা হলে, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক হবে। তুরস্ক ও ভারত পঞ্চম এবং ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। এরপর রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং পাকিস্তান।

ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারকের বার্ষিক মোট রপ্তানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের ৩৭৮ বিলিয়ন থেকে একটি বড় উত্থান। এ মূল্য ২০১৯ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেকর্ড করা হয়েছিল।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]