04/21/2025 বাঘায় রাতের আধারে ৪’শ গাছ কর্তন
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৩:৪৩
৪০০টি আমগাছ ৮ থেকে ১০ জনের পক্ষে কাটা সম্ভব না। এসেছিলেন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জনের দল। গাছগুলো কাটার ধরন দেখে মনে হচ্ছে ধারালো দা, হাঁসুয়া, করাত ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু যারা কেটেছে তারা গাছগুলো কাটেনি- তারা কৃষকদের গলা, হাত, পা কেটেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে বাঘা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবু সামা, বাবু ও হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্ম ীদের এসব কথা বলেন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের মাঠে এক রাতে ২০ কৃষকের ৪০০টি আমগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পর দিন সোমবার আবু শামা ও সাধন কুমার প্রামাণিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ভুক্তভোগী হাফিজুল ইসলাম বলেন, এই জমির আম বিক্রি করে কিছু টাকা হয়। সেগুলো দিয়ে চলতে হয়। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমরা চাই সরকার বিষয়টি দেখবেন। আমাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেবেন।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এই বিলে তিন থেকে চার বছর আগে বেশ কিছু পুকুর খনন করা হয়েছে। তবে কেউ কখনো এই বিলে পুকুর খননের জন্য কৃষককে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
ভুক্তভোগী আবু সামা যুগান্তরকে বলেন, পুরো মাঠে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দলে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন ছিল। বড় গাছের পেছনে ২-৩ জন দুর্বৃত্ত কাজ করেছে।
তিনি বলেন, একই রাতে গ্রামের স্কুলের পাশে নাসিরের পেঁয়াজ আছে। সেই পেঁয়াজ কাটা হয়েছে। যারা আমগাছ কেটেছে, এই দলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গার লোক আছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাফিজুল আরও জানান, পাশের জমিতে ১০ বছর আগে গাছ লাগিয়েছিলাম। তখন দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলে। তারপর আর লাগাইনি। ওই দুই দাগে ২০টি গাছ ছিল। লাগালে আবার কেটে দিবে। এই ভয়ে আর লাগাইনি।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, ৪০০টি আমগাছ কাটা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। গাছগুলোর কোনোটির বয়স ৩ বছর; আবার কোনোটির বয়স ১৫ বছর। তবে এগুলো পুকুর খননের জন্য করা হয়েছে; যাতে কৃষকের ওপর চাপ তৈরি হয়।
সূত্র: যুগান্তর।