12846

05/05/2024 ব্যর্থ রাষ্ট্র নাকি রাষ্ট্রের ব্যর্থতা?

ব্যর্থ রাষ্ট্র নাকি রাষ্ট্রের ব্যর্থতা?

রাজটাইমস ডেস্ক

৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৩৩

পাকিস্তানের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন একপ্রকার ভেঙে পড়ার পথে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো গতকাল জানিয়েছে, পাকিস্তান রেলওয়ের কাছে এখন জ্বালানি তেলের মজুদ প্রায় নিঃশেষ। যেটুকু আছে তা দিয়ে রেল চালানো যাবে আর মাত্র তিনদিন। বর্তমান পরিস্থিতিতে জ্বালানি ক্রয়ের সক্ষমতা দেশটির রেল কর্তৃপক্ষের নেই। সে অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবারের পর দেশটিতে ট্রেন চলাচল চালু রাখা যাবে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন দেশটির রেলকর্তারা। খবর বণিক বার্তার। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনকে দেয়া এক মন্তব্যে পাকিস্তান রেলওয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি তেলের মজুদ এক মাস থেকে কমতে কমতে কয়েক দিনে নেমেছে। এ অবস্থায় স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তান রেলওয়ে এখন আর্থিক সক্ষমতা নিয়ে মারাত্মক বিপদে রয়েছে।

এর আগেও একবার মজুদ কমে আসায় রেলপথে যাত্রী ও বাণিজ্য পণ্য পরিবহন সীমিত করে এনেছিল পাকিস্তান রেলওয়ে। বিশেষ করে দেশটির বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুই অর্থনৈতিক কেন্দ্র লাহোর ও করাচির মধ্যে পণ্য পরিবহন সে সময় একপ্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছিল।

শুধু রেল খাত নয়, সার্বিক অর্থনীতি নিয়েই এখন মারাত্মক বিপদে পাকিস্তান। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এখন মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও নিচে, যা দিয়ে পাকিস্তানের এক মাসের আমদানি চালু রাখা সম্ভব নয়। সদ্যসমাপ্ত ২০২২ সালে দেশটির রিজার্ভের পতন হয়েছে ৫০ শতাংশ।

ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে দেশটির জনগণকে। ডিসেম্বরেও পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতির হার ছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ২৪ শতাংশ। এ সময় দেশটিতে শুধু খাদ্যপণ্যেরই মূল্যস্ফীতির হার ছিল প্রায় ৩৩ শতাংশ।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশটির জ্বালানি সংকট। গ্যাস ও জ্বালানি তেলের অভাবে দেশটির অনেক বিদ্যুেকন্দ্রই এখন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। গৃহস্থালি ও শিল্প খাতের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না দেশটি। এমনকি শীতকালে চাহিদা কম থাকলেও এর মধ্যেও দেশটিতে বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখতে হচ্ছে রেশনিংয়ের মাধ্যমে।

পাকিস্তানের মতো বিপর্যয়কর পরিস্থিতি পার করছে শ্রীলংকাও। এরই মধ্যে দেশটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে দেশটিতে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে কমিয়ে ৬০ করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। এর পরও অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর মতো পর্যাপ্ত কৃচ্ছ্রসাধন হচ্ছে না বিবেচনায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ একেবারেই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার।

যদিও দেশটির অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এ পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটির কাছে এ মুহূর্তে একেবারেই ডলার বা অন্য কোনো পশ্চিমা মুদ্রা নেই। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য এ মুহূর্তে দেশটির প্রধান ভরসা ভারতীয় রুপি। সরকারের আয় বাড়াতে নতুন করে বাড়ানো হয়েছে ব্যক্তিশ্রেণীর ও করপোরেট করহারও।

বিষয়টি আরো ক্ষুব্ধ করে তুলছে শ্রীলংকার জনগণকে। ডিসেম্বরেও দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫৭ শতাংশের বেশি। আগের মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমলেও দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা নিজেরাও নিশ্চিত নন, এ নিম্নমুখী ধারা আদৌ বজায় রাখা যাবে কিনা। এর মধ্যেই আবার করহার বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে ব্যয় বৃদ্ধির ধাক্কা জনগণের ওপর আবার পড়তে যাচ্ছে। আবার কৃচ্ছ্রসাধনের কারণে এরই মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। দেশটির বহুল আলোচিত জ্বালানি সংকট এখনো শ্রীলংকা সরকারের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুর্বিপাকের গত বছরের শুরুর দিকে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয় দেশটি। সেখান থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সংকটের ব্যাপকতার তুলনায় তা সামান্যই বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

পাকিস্তান ও শ্রীলংকা—উভয় দেশকেই এখন সংকট মোকাবেলার জন্য আইএমএফের ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আইএমএফের পরামর্শের ভিত্তিতে দেশগুলোর অর্থনীতিতে একের পর এক পরিবর্তন আনা হলেও এখন পর্যন্ত সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারেনি দেশ দুটি। বরং অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা দেশ দুটির সামাজিক পরিস্থিতিকেও মারাত্মক অস্থিতিশীল করে তুলেছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতিও টালমাটাল দশায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিপদগ্রস্ত দেশগুলোয় সংকট ছড়িয়ে পড়ার পেছনে জনসম্পৃক্ততাবিহীন অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ বড় একটি ভূমিকা রেখেছে। অর্থনীতিকে বিপন্ন করেছে জবাবদিহিতার অভাব ও কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ বণিক বার্তাকে বলেন, এ অঞ্চলে ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকট এখানকার রুলিং এলিটদের জনসম্পৃক্ততাবিহীন অর্থনৈতিক নীতিমালার সারশূন্যতাকে একেবারে সামনে নিয়ে এসেছে। এবং একই সঙ্গে আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, জিডিপি যে সবসময়ই একটি দেশের অর্থনৈতিক ভালো স্বাস্থ্যের পূর্বাভাস দেবে—সে ধারণাও ঠিক নয়। বেপরোয়া নীতিমালা, টেকসই নয় এমন ব্যয়, অনিয়ন্ত্রিত দুর্নীতি এবং সমাজের বৃহত্তর অংশটিকে উপেক্ষা করে চলার মতো বিষয়গুলোই এ ধরনের সমস্যার জন্ম দিয়েছে। আর জবাবদিহিতার ব্যবস্থাকে সরিয়ে দিয়ে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে অর্থনীতিও একেবারে ভেতর থেকে ক্ষয়ে গেছে।

শ্রীলংকার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বড় একটি কারণ ধরা হয় দেশটির সরকারের ক্রমাগত মুদ্রা ছাপিয়ে যাওয়াকে। একই পথে হাঁটছে মালদ্বীপের সরকারও। মালে সরকারের এ প্রবণতাকে বিপজ্জনক হিসেবে দেখছে আইএমএফ। এরই মধ্যে দেশটির প্রতি স্থানীয় মুদ্রা রুফিয়া ছাপানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ মনে করছে, রুফিয়ার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি পূরণের জন্য হলেও মালদ্বীপকে মুদ্রা ছাপিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় মালদ্বীপও শ্রীলংকার মতো বিপদে পড়তে পারে।

বাজেট ঘাটতি এখন মালদ্বীপের জন্য অনেক বড় একটি সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালেই দেশটিতে বাজেট ঘাটতির হার ছিল জিডিপির সাড়ে ১৬ শতাংশ। রাজস্ব আয় কমতির দিকে থাকলেও দেশটির রাষ্ট্রীয় ব্যয় দিনে দিনে বাড়ছে। আবার মালদ্বীপের আর্থিক ও ঋণ নীতিমালা নিয়েও স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর আপত্তি রয়েছে। দেশটির অর্থনীতির সবচেয়ে দুর্বল দিক ধরা হয় এর এককেন্দ্রিকতাকে। মালদ্বীপের অর্থনীতি অতিমাত্রায় পর্যটন ও সেবা খাতনির্ভর। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে দেশটি।

যদিও চীনের অতিরিক্ত সুদযুক্ত ঋণে নেয়া প্রকল্পগুলো শেষ পর্যন্ত দেশটির ঋণের বোঝা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি দেশটির বাজেট ঘাটতিকেও বড় করে তুলেছে বলে দাবি করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। তাদের আশঙ্কা, শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপকেও শ্রীলংকার পরিণতি বরণ করে নিতে হতে পারে।

তাদের এ আশঙ্কার সঙ্গে সংগতি রেখে দেশটিতে এখন রিজার্ভের পরিমাণ দিনে দিনে কমে আসছে। কভিডের প্রাদুর্ভাবজনিত দুর্বিপাকে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০২০ সালে মালদ্বীপের জিডিপি সংকুচিত হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২১ সালে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাড়ে ৯৮ কোটি থেকে কমে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নেমে আসে। ২০২২ শেষে দেশটির রিজার্ভ সাড়ে ৬৯ কোটি ডলারে নেমে আসার পূর্বাভাস ছিল।

পরিস্থিতি সামাল দিতে মালদ্বীপ সরকার এখন পর্যটন ও সেবা খাতে কর রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। দেশটির সরকার এ থেকে আয় বাড়ার প্রত্যাশা করলেও স্থানীয় কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের আশঙ্কা, এক্ষেত্রে উল্টোটাও ঘটতে পারে। এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য হলো, অতীতেও বিভিন্ন পর্যটননির্ভর অর্থনীতির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এ ধরনের কর পর্যটকদের ব্যয় বাড়িয়ে তোলে। এবং কোনো স্থানে পর্যটন ব্যয় বাড়লে সেখানে পর্যটকদের আগমনও ব্যাপক মাত্রায় কমে যায়।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে গেটওয়ে দেশ ধরা হয় আফগানিস্তানকে। দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধ দেশটির অর্থনীতিকে একেবারে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। দেশটির বাণিজ্য, সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা এখন একপ্রকার ভেঙে পড়েছে। ভঙ্গুর এ উপরিকাঠামো সঙ্গে করে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটানো দেশটির তালেবান সরকারের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এখন খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গৃহযুদ্ধ বিপর্যস্ত দেশটির স্থানে স্থানে এখন দেখা যায় মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র।

একইভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত মিয়ানমারের অর্থনীতিও এখন মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্য ও শিল্প খাত থেকে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বেরিয়ে আসছেন একে একে। রিজার্ভ সংকট, মূল্যস্ফীতি, সামরিক শাসন ও সর্বোপরি গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির অর্থনীতি এখন একপ্রকার অচল হয়ে পড়েছে। কবে এ সংকট থেকে পরিত্রাণ মিলবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারছে না কেউই।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, এখানে শুধু সরকার বা ব্যবস্থাপনার বাইরেও আমাদের কয়েকটি বিষয় নিয়েই ভাবতে হবে। যেমন করোনা। মানব ইতিহাসে এমন মহামারী ঘটেছে কিনা সন্দেহ আছে। সেটি শেষ না হতেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বর্তমানে আমরা বিশ্বপল্লীর অংশ। অর্থাৎ এক জায়গায় সমস্যা হলে সব স্থানে তা অনুভূত হয়। এ কথা ঠিক, দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো কোনো শাসকের বিশ্বাসযোগ্যতা কম। জনগণের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বা বোঝাপড়া কম। এ ধরনের শাসকরা জটিল ইস্যু সমাধান বা প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যায় পড়ে যায়। কারণ জনগণের সঙ্গে দূরত্বের সম্পর্ক থাকায়, জনগণ তাদের কঠোর অথচ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তগুলোকে ধর্তব্যের মধ্যে নেয় না।

যেকোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থার কার্যকারিতা বিশ্লেষণের প্রধান তিনটি মাপকাঠি হলো অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের অভিমত, এর যেকোনো একটিতে অস্থিতিশীলতা মাত্রা ছাড়ালে তা গোটা রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকেই বিপন্ন করে তুলতে পারে। দেখা দিতে পারে নৈরাজ্য, সংশ্লিষ্ট দেশকে যার মূল্য পরিশোধ করতে হয় দীর্ঘদিন ধরে।

আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপে চলমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট নিয়েও একই ধরনের আশঙ্কা পর্যবেক্ষকদের। মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও একই ভয় পাচ্ছেন তারা। তাদের ভাষ্যমতে, দেশগুলোয় এখন যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা অর্থনীতি ও সমাজকে যথাযথভাবে পরিচালনায় রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতারই ফসল। দেশগুলোয় চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও এ ব্যর্থতারই ফসল। এমনকি বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে দেশগুলোর কোনো কোনোটির চূড়ান্তভাবে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রের’ পরিচিতি পাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]