1291

03/17/2025 অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই

অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই

বিশেষ প্রতিবেদক

১১ অক্টোবর ২০২০ ১৮:০২

রাজশাহী মসজিদ মিশন একাডেমির অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অভিযোগের মধ্যে নিয়োগ বাণিজ্য, আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, একই সাথে দুটি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি ও বেতন গ্রনহণ, সাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে গর্ভনিং বডি গঠনসহ নানা ধরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও মিলেছে এর সত্যতা। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের শুরুরদিকে সহকারি শিক্ষক হিসেবে রাজশাহী মসজিদ মিশন স্কুলে যোগ দেন মোঃ নুরুজ্জামান খান। সেই বছরেই স্কুলটি কলেজে উন্নিত হলে পদন্নতির মাধ্যমে ২ আগষ্ট ১৯৯৫ সালে প্রভাষক পদে যোগদেন তিনি।

২ ফেব্রয়ারি ১৯৯৬ সালে রাজশাহীর পালপুর কলেজে প্রভাষক পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ২০ ফেব্রয়ারি ৯৬ সালে তাঁকে নিয়োগের সুপারিশ করেন নিয়োগ কমিটি? ২০০১ সালে পালপুর ধরমপুর কলেজ এমপিও ভুক্ত হলে সেখান থেকে তিনি প্রভাষক হিসেবে বেতন ভোগ করতে থাকেন মসজিদ মিশন স্কুল এন্ড কলেজ এমপিও ভুক্ত হয় ২০০২ সালে, তিনি এখান থেকেও বেতন উত্থোলন করতে থাকনে। একইসাথে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন উত্তোলন করলেও এই দুই প্রতিষ্ঠানের একটি থেকেও কোন ধরণের ছাড়পত্র বা দায়মুক্তি গ্রহণ করেননি তিনি।

মসজিদ মিশন একাডেমিতে ১৯৯৫ সালে নিয়োগের সূত্রধরে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন তিনি অথচ ২০০১ সালে পালপুর ধরমপুর কলেজে এমপিও ভুক্ত প্রভাষক হিসেবে বেতন উত্তলোন করেন যার ফলে দানা বেধেছে নানা প্রশ্নের। সাক্ষর জালিয়তির মাধ্যমে বৈধ কমিটিকে পাশ কাটিয়ে ভূয়া কমিটি গঠনের সত্যতা শিক্ষাবোর্ড গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে প্রমানিত হয়েছে এবং জাতীয়-স্থানীয় পত্রিকায় এসম্পর্কে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

অধ্যক্ষের সাক্ষর জালিয়তির ঘটনার হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশান দায়ের করা হয় এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অভিযুক্ত কমিটির উপর স্তগিতাদেশ প্রদান করেন। হাইকোর্টের অদেশ অমান্য করে স্থগিত হওয়া কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ সাক্ষরে ৭৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেন যা হাই কোর্টের আদেশ লংঘন হয়েছে বলে মনে করেন মসজিদ মিশনের কতিপয় শিক্ষক।

এছাড়া নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে, কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়ায় বিধি লংঘন করে ৮জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে পঞ্চাশের অধিক বয়সের এক ব্যাক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলেও প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদান সিটে প্রমাণ মিলেছে।

ভর্তিফির টাকা সময়মত ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগও উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে, এছাড়া সহকর্মীদের সাথে বিবাদের জেরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন বলেও সহকর্মীদের থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে বলেন, এখানে খন্ডকালীন নিয়োগ গভর্নিং বডির মাধ্যমেই হয়ে থাকে যার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়না। যা অতিতেও হয়েছে, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলোনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে তাই মন্তব্য করতে চান না বলে জানান তিনি। এছাড়া তিনি মিটিংয়ে ব্যাস্ত আছেন, পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]