04/21/2025 বাড়ছে নারী মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা
বিশেষ প্রতিনিধি
১৯ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৩৭
রাজশাহীর বিভিন্ন সীমন্তে বাড়ছে নারী মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা। প্রাপ্ততথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা অর্থের লোভ দেখিয়ে কতিপয় নারীদের মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত করছেন। যার কারণে সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়ার পাশাপাশি নারী মাদক ব্যবসায়ীর পরিবারও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার মধ্যে পড়ছেন।
ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা রাজশাহীর গোদাগাড়ী, বাঘা ও চারঘাট উপজেলা। এরমধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলা বিশেষ করে হেরোইনসহ পাচারের অন্যতম বৃহত একটি রুট। প্রায়শ বিভিন্ন স্থানে হেরোইন অটক করে পুলিশ। অপর দিকে রাজশাহীর শহরের পূর্ব দক্ষিণ এলাকা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বাঘা ও চারঘাট উপজেলা। এ দুই উপজেলার দক্ষিন প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে পদ্মানদী ও সীমান্ত এলাকা। আর এই সীমান্ত এলাকা দিয়ে দুই উপজেলায় প্রবেশ করছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও হেরোইনের বড়-বড় চালান । এগুলো দেখ ভালের জন্য দুই উপজেলায় স্থাপন করা হয়েছে পাঁচটি বর্ডার গার্ড(বিজিবি) ক্যাম্প। তার পরেও নানা কৌশল অবলম্বন করে প্রাচার হয়ে আসছে মাদক।
প্রাপ্ততথ্য থেকে জানা যায়, পদ্মাপাড়ের চরাঞ্চল কেন্দ্রিক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা অর্থের লোভ দেখিয়ে কতিপয় নারীদের দলে ভেড়াচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে ঐ চক্রটি এ কৌশল অবলম্বন করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে ইদানিং নারী মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইদানিং নদী পথে ভারত থেকে ফেন্সিডিলগুলো দেশের অভ্যন্তরে আনার পর চরাঞ্চল অথবা সীমান্ত এলাকার কোন বাড়িতে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়।
এরপর সেগুলোর অধিকাংশ নারীদের দিয়ে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় লোকজন জানান, নারী মাদক ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করতে তাদের শরীলে যে কউ হাত দিতে পারেনা। এ কারনে অত্র অঞ্চলের চিহৃত মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন কৌশল হিসাবে অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজের স্ত্রী সহ প্রতিবেশী নারীদের মাদকের সাথে সম্পৃক্ত করছে।