13239

04/21/2025 সেপটিক ট্যাংকে ৫শ সরকারি ভ্যাকসিন!

সেপটিক ট্যাংকে ৫শ সরকারি ভ্যাকসিন!

ডেস্ক নিউজ

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৪২

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে অব্যবহৃত অবস্থায় ডাকপ্লেগ রোগের ভ্যাকসিনের প্রায় পাঁচ শতাধিক ভায়াল ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে।

গত তিন সপ্তাহ আগে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নজরুল ইসলাম হঠাৎ ভাঙ্গুড়া প্রাণিসম্পদ অফিসে সফরে গিয়ে এই দৃশ্য দেখেন। তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হোসাইনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া প্রাণিসম্পদ অফিসে বিভিন্ন সময়ে পশুপাখির বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। তেমনি গত ছয় মাস আগে ডাকপ্লেগ রোগের প্রায় পাঁচ শতাধিক ভ্যাকসিন প্রাণিসম্পদ ভবনের পেছনে থাকা টয়লেটের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে দেখতে পান কিছু সেবাপ্রত্যাশী। ওই সময় তারা ছবি তুলে রাখেন। এরপর গত তিন সপ্তাহ আগে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হঠাৎ সফরে আসলে ভ্যাকসিন ফেলে দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে অবগত হন এবং পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রধান ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে আসা ভ্যাকসিন খামারিদের না দিয়ে কৌশলে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কোনো কারণে ওই ভ্যাকসিনগুলো বিক্রি করতে না পারায় মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফেলে দিয়েছে।

ফেলে দেওয়া ভ্যাকসিনের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট শাহিনুর ইসলাম বলেন, ফেলে দেওয়া ভ্যাকসিনগুলো আমি যোগদানের আগের। কিভাবে সেগুলো এসেছে বা কে ফেলেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি যোগদানের পর যে সমস্ত ভ্যাকসিন এসেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে রয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রোমানা আক্তার বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই বিষয়টি বিস্তারিত জানি না। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন ডাস্টবিনের ফেলার ঘটনায় তদন্ত চলছে।

তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরদী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসাইন বলেন, তদন্ত চলছে। শেষ হলে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে।

সূত্র: যুগান্তর।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]