13287

03/15/2025 তাপসী রাবেয়া হলের পুনর্মিলনীতে প্রাণোচ্ছল রাবি ক্যাম্পাস

তাপসী রাবেয়া হলের পুনর্মিলনীতে প্রাণোচ্ছল রাবি ক্যাম্পাস

রাবি প্রতিনিধি:

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:১২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তাপসী রাবেয়া হলের সাবেক-বর্তমান রূপসীদের মিলন মেলায় প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বেলুন, ফেস্টুন উড়িয়ে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আপনাদের আনন্দ আজকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটা এ্যলামনাই গঠনের মাধ্যমে তাপসী রাবেয়া হলের হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াঁতে হবে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক হতদরিদ্র শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো সাবেক হিসেবে আপনার আমার কর্তব্য। আপনারা সাবেক শিক্ষার্থী সবসময় আসবেন আমাদের সকল কাজে সহযোগিতা করবেন সেই প্রত্যাশা রাখেন উপাচার্য।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী মহল, তাপসী রাবেয়া হলের প্রাক্তন প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষবৃন্দসহ সাবেক-বর্তমান মিলিয়ে প্রায় বারোশো শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ ।

পরে হলের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মিলিত হয়।

এরপরে শুরু হয় প্রাক্তন ছাত্রীদের স্মৃতিচারণ ও রাইফেল ড্রো অনুষ্ঠান। সবশেষে প্রাক্তন ছাত্রীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেন তাপসী রাবেয়া হলের ২০০১-০২ সেশনের শিক্ষার্থী ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, আমার কাছে আজকের দিনটা খুবই আনন্দের। ১৯৮৫ সালের পর থেকে ২৭টি ব্যাচ হল থেকে বের হয়েছে। অনেক বড় আপুদেরকে চিনতাম না তাদের সাথে পরিচিত হতে পেরে এবং ছোটবোনকে আবারও একসাথে পেয়ে হল জীবনে কাটানো স্মৃতিগুলো খুবই মনে পড়ছে। এ এক অন্যরকম ভালোবাসা যা স্মৃতিতে রয়ে যাবে আজীবন।

সকলের সাথে নাচে গানে মেতে উঠেন ৯৯-০০ সেশনের শিক্ষার্থী ফরিদা পারভীন কেয়া। তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতো বছর পর সবাই একত্রিত হতে পেরে আমাদের মধ্যে এক অন্য রকম আনন্দ উচ্ছ্বাস কাজ করছে। সবাইকে এতো কাছ থেকে আবারও দেখতে পাবো সেটা কখনো ভাবিনি। এ পূনর্মিলনী সেটা সম্ভব করে দিয়েছে। আমাদের পেয়ে আপুদের আবেগ, ভালোবাসা ও চোখের জল আমাদের এ অনুষ্ঠানকে স্বার্থক করে তুলেছে। এমন আয়োজন এবছর নয় প্রতিবছর হোক সেটাই প্রত্যাশা এ শিক্ষার্থীর।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অনুষ্ঠানের আহবায়ক শ্যামলী সুলতানা বলেন, আমি নিজেও এই হলের একজন শিক্ষার্থী ছিলাম। আমার তত্বাবধায়নে সমস্ত ব্যাচকে একত্রিত করে এমন আয়োজন করতে পেরে আমিই খুবই আনন্দিত। বান্ধবী, বড়বোন ও ছোটবোনদেরকে কাছে পেয়ে সবাই পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো ফিরে পেয়েছে এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আমাদের এ আয়োজন ২৭ ব্যাচ থেকে ৯১৪ জন সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী সাড়া দিয়েছেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]