13593

04/21/2025 সৌদিতে নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত

সৌদিতে নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত

ডেস্ক নিউজ

৩০ মার্চ ২০২৩ ০০:০২

সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২ ওমরাহ যাত্রীর মধ্যে কমপক্ষে ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি ৯ টি মরদেহের ৫ টি বিদেশির, চারটির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জেদ্দায় নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক মানবজমিনকে আগেই জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসে থাকা ৪৭ জন ওমরাহ যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জন ছিলেন বাংলাদেশি। বাকি ১২ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ জন বাংলাদেশি (জীবিত) বলে সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকি ১৭ জন নিখোঁজ ছিলেন।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নিহত বলে ধারণা দিয়েছিল মিশন। সৌদি মিশনের বরাতে মধ্যরাতে নিহত ১৩ জনের নাম-পরিচয় পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে এখনো ৪ জন নিখোঁজ। হিমঘরে থাকা যে ৪টি লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি তা নিখোঁজ ৪ বাংলাদেশির হতে পারে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ এতোটাই পুড়েছে যে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট লাগতে পারে জানিয়ে মিশনের এক কর্মকর্তা রাতে মানবজমিনকে বলেন, বাসে ১২ জন ওমরাহ যাত্রী ছিলেন বিদেশি। এর বাইরে যারা ছিলেন সবই বাংলাদেশি। ভিন দেশী ১২ জনের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা গেছে। ফলে নিহতের তালিকায় আর কোনো বিদেশি থাকার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গেছে বাংলাদেশ মিশনের কনস্যুলার টিম। তারা স্থানীয় হাসপাতালে রাখা লাশ শনাক্ত এবং আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে ঢাকাকে নিয়মিত ফলোআপ দিচ্ছে। সৌদি আরবে থাকা বাংলাদেশ মিশনের বরাতে রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন মানবজমিনকে জানান, সৌদির আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় ২৭ মার্চে ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন-

১। শহিদুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, সেনবাগ, নোয়াখালী।

২। মামুন মিয়া পিতাঃ আব্দুল আওয়াল, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
৩। মোহাম্মদ হেলাল, নোয়াখালী।
৪। সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর।
৫। রাসেল মোল্লা, মুরাদনগর কুমিল্লা।
৬। মোঃ আসিফ, মহেশখালী কক্সবাজার।
৭। মোঃ ইমাম হোসাইন রনি পিতাঃ আব্দুল লতিফ, টঙ্গী, গাজীপুর।
৮। রুক মিয়া পিতাঃ কালু মিয়া, চাঁদপুর।
৯। সিফাত উল্লাহ, মহেশখালী, কক্সবাজার।
১০। গিয়াস হামিদ, দেবীদ্দার, কুমিল্লা।
১১। মোহাম্মদ নাজমুল পিতাঃ কাওসার মিয়া, কোতোয়ালি যশোর।
১২। রনি, পিতাঃ ইস্কান্দার, যশোর।
১৩। মোহাম্মদ হোসেন, কক্সবাজার।

#জীবিত উদ্ধার তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জনের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে সেগুনবাগিচা#

জীবিতরা হলেন-
১। সালাহউদ্দিন, পিতা: আবুল বাশার, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম
২। আল আমিন, বুরহান উদ্দিন, ভোলা
৩। মিনহাজ, পিতা: সিরাজুল্লাহ, রায়পুরা, লক্ষ্মীপুর
৪। জুয়েল, পিতা: মোঃ জয়নাল, কচুয়া, চাঁদপুর
৫। আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: ঊঅ০২৩১৭১৮), পিতা: জাকির মোল্লা, শালিকা, মাগুরা
৬। মোঃ রিয়াজ, পিতা: আবু সাইদ, চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর
৭। আব্দুল হাই (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)
৮। রানা (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)
৯। মোঃ সেলিম (অ০৩৪৫৯৫৭১)
১০। দেলোয়ার হোসাইন, পিতা: আইয়ুব আলী, লাকসাম, কুমিল্লা
১১। হোসাইন আলী (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)
১২। কুদ্দুস (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)
১৩। মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, পিতা: আব্দুল লতিফ, সেনবাগ, নোয়াখালী
১৪। ইয়ার হোসাইন, আব্দুল মালেক, মুরাদনগর, কুমিল্লা
১৫। মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ জজ মিয়া, মুরাদনগর, কুমিল্লা
১৬। মিজানুর রহমান, পিতা: ফজলুর রহমান, মোহাম্মদপুর, মাগুরা
১৭। মোঃ মোশাররফ হোসাইন, পিতা: কাজী আনোয়ার হোসাইন, সদর, যশোর

খালিজ টাইমস আগেই জানিয়েছে, সৌদির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সকলেই ওমরাহ পালনে মক্কা যাচ্ছিলেন। আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সংযোগকারী ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আকাবাত শার সড়কে সোমবার বিকাল ৪টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কে থাকা একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। হতাহতদের কাছাকাছি হাসপাতালে নেয়া হয়। সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্টের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালায়।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, পাহাড় কেটে ওই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছিল। এরমধ্যে ১১টি টানেল এবং ৩২টি সেতু আছে। সড়কটি ৪০ বছরেরও বেশি আগে নির্মাণ করা হয়। বাসটি একটি সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় এর ব্রেক ফেল করে এবং সেতুর শেষ প্রান্তে গিয়ে নিরাপত্তা বেরিয়ারে আছড়ে পড়ে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]