14293

04/28/2024 পেঁয়াজ আমদানিতে অসাধু মজুতকারীদের মাথায় বাড়ি

পেঁয়াজ আমদানিতে অসাধু মজুতকারীদের মাথায় বাড়ি

রাজ টাইমস ডেস্ক :

৭ জুন ২০২৩ ০৫:৪১

দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকাগুলোর মধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ অঞ্চলের পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে দেশের অভ্যন্তরে আমদানি করা হয়।

এখানে তিনমাস পূর্বে যখন জমি থেকে নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়, তখন পেঁয়াজের দাম ছিল মাত্র ৪০ টাকা কেজি। এর ২০-২৫ দিন পর থেকে দফায়-দফায় পেঁয়াজের মূল্য বাড়তে শুরু করে এবং বাজার মূল্য এসে দাড়ায় ৮০ টাকায়।

এর প্রধান কারণ মজুত। টার্গেট কোরবানীর ঈদ। তবে শেষ পর্যন্ত মজুতকারীদের স্বপ্ন ভেস্তে গেল। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমলো ২৫ টাকা।

জানা গেছে, রাজশাহীর সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে এসেছে ভারতীয় পেঁয়াজ। সরকার ঘোষিত আমদানির অনুমতি মেলার পরদিন সোমবার (৫ জুন) এ বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৬২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

একইভাবে যশোর, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্য সীমান্ত দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে পেঁয়াজ মজুতকারীদের। ইতিমধ্যে অনেক মজুতকারী তাদের ঘরে রাখা পেঁয়াজ ভ্যান করে বাজারে আড়াতদার (পাইকারি) ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার উপজেলা সদরে অবস্থিত বাঘা বাজারে প্রবেশ করলে এমন চিত্র চোখে পড়ে।

সূত্র মতে, গত মাসের ২৬ তারিখ শৈলকূপায় একজন চাষির ঘর থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বের করেছে প্রশাসন। এরপর টনক নড়ে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর।

অনেকেই বলছেন, প্রশাসন চাইলে মজুতকারীদের বাড়ি এবং গুদামে অভিযান চালাতে পারতো। কিন্তু সেটি না করে, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার একদিন পরে ৮০ টাকার পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দরে চলে আসে। এর ফলে মাথায় হাত পড়ে মজুতকারীদের।

বাঘার চরাঞ্চলের চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর অনেক চাষি বেশি মুনাফা লাভের আসায় উৎপাদিত পেঁয়াজের কিছু অংশ বিক্রি করেছে। আর কিছু অংশ ঘরে মজুদ রেখেছে। তারা নিজেদের অর্থের প্রয়োজনে খুব অল্প-অল্প করে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছিল। তাদের টার্গেট ছিল, কোরবানীর ঈদ। কিন্তু তার আগেই সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন তারা আর্থিকভাবে লাভবান না হলেও ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন মজুতকৃত ব্যবসায়ীরা।

বাঘার সুশীল সমাজ বলছেন, সরকার কৃষিখাতে ব্যাপক ভুর্তুকি দেওয়াসহ নানাবিধ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন কৃষিতে স্বয়ং সম্পন্ন। বর্তমানে যেভাবে ফসল উৎপাদন হচ্ছে তা থেকে কোনো কিছুরই দাম বাড়ার কথা নয়। তার পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন প্রকার পণ্য মজুত করে বাজারে ক্রাইসিস (সংকট) সৃষ্টি করছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রশাসনের নজরদারির মাধ্যমে মজুত ব্যবসা বন্ধ করতে পারলে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]