04/22/2025 তিব্র খরায় ফেটে গেছে বরেন্দ্র অঞ্চলের আমনের ক্ষেত
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর
২৪ জুলাই ২০২৩ ০০:৫৪
তিব্র খরায় ফেটে গেছে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে আমনের ক্ষেত। একই সাথে খরার কবলে পড়ে শুকিয়ে গেছে রোপন করা রোপা আমনের জমি। এতে করে রোপন হয়নি ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান। কয়েক সপ্তাহ পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ার এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
রাজশাহীর তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, তানোর উপজেলায় আবাদী জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৯’শ ৯৩ হেক্টর। এর মধ্যে সেচের আওতায় জমি রয়েছে ২২ হাজার ৩’শ ৩২ হেক্টর। সেচ বহির্ভূত জমি রয়েছে ১ হাজার ৬’শ ৬১ হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলী জমি রয়েছে ৩’শ ৪৪ হেক্টর, দুই ফসলী জমি রয়েছে ৪ হাজার ৫’শ ৪০ হেক্টর, তিন ফসলী জমি রয়েছে ১৯ হাজার ১’শ ০৯ হেক্টর। চলতি বছরে রোপা আমনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৫’শ হেক্টর। এর মধ্যে গতকাল রোববার পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপন সম্পূর্ন হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে এখনো পড়ে রয়েছে ৫ হাজার হেক্টর জমি।
গত সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনের টানা ভারি বর্ষনে কৃষকদের মধ্য উৎফুল্লতার সৃষ্টি হলেও গত ৮ দিনের মধ্য আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে অনেক কৃষক তাদের জমি তৈরি করতে পারেন নি, আবার অনেকের তৈরি করা জমিতে রোপা আমন রোপন করতে না পারায় বর্তমানে শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা বলছেন, রোপা আমন চাষাবাদ মুলত বৃষ্টির পানির উপর নির্ভরশীল। গত কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকা সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিচু এলাকার জমি গুলোতে রোপা আমন রোপন করা হয়েছে। কিন্তু উচু এলাকার জমি গুলো এখনো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির অভাবে রোপন করা যায়নি রোপা আমন।
এক সপ্তাহের মধ্যে রোপন করা না হলে জমি গুলো ফাঁকায় পড়ে থাকবে। অপর দিকে তানোর পৌরসভা, তালন্দ, সরনজাই, পাচন্দর, চান্দুড়িয়া, কামারগাঁ ইউপির বেশির ভাগ জমিতে রোপা আমন রোপন শেষ হয়েছে। কিন্তু ম্ন্ডুুমালা পৌরসভা ও পাচন্দর, বাধাইড় এবং কলমা ইউপির উঁচু জমিগুলো চাষ করা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এসব এলাকা প্রচন্ড খরাপ্রবন।
জমি রোপনের ২-৩ দিন পানি না হলে শুকিয়ে যায়। বিশেষ করে বাধাইড় ও মুন্ডুমালা পৌর এবং কলমা ইউপির উপর এলাকার জমিগুলো বেশিরভাগ চাষ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তানোর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, শ্রাবন মাস জুড়েই রোপা আমন রোপন করে থাকেন কৃষকরা। বৃষ্টির পানি না হলে অবশ্যই সেচের ব্যবস্থা করে জমি রোপনের ব্যবস্থা করা হবে।