রাজশাহী নগরীতে ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চন্দ্রিমা থানার খড়খড়ি এলাকার একটি মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র বলে জানা গেছে।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। অভিযুক্ত কিশোরকে আসামী করে চন্দ্রিমা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সকালে শিশুটিকে বাসায় রেখে বাবা ভ্যান চালাতে চলে যান। শিশুটির মা বাইরে কাজে যান। এ সুযোগে ওই কিশোর বাসায় ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ওই কিশোর গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। দুপুরে শিশুটির বাবা-মা ফিরে এসে দেখেন শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। রক্তক্ষরণ দেখে শিশুটির মা তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে সন্দেহ করেন।

অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে শিশুটিকে ধর্ষণের বিষয়টি সনাক্ত করা হয়। চিকিৎসক শিশুটিকে দ্রুত মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

ভুক্তভোগী শিশুটি তার মাকে জানায়, ওই কিশোর তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। দুপুরের পর শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।  

শিশুটির শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল জানিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, শিশুটির বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতালে আনতে কিছুটা দেরি হওয়ায় রক্ত দেওয়ার দরকার হয়। তবে দ্রুত সময়ে সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত হওয়ায় তার শারীরিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল। আশঙ্কার কারণ নেই। ওসিসি থেকে শিশুটির চিকিৎসা ও পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার বিষয়টি দেরী করে পুলিশকে জানানো হয়েছে জানিয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর জানান, পরিবার ও এলাকাবাসী ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে না জানিয়ে গ্রামের লোকদের নিয়ে ধর্ষক কিশোরকে ধরতে খোঁজাখুঁজি করেন। এতে কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে। তারা সন্ধ্যায় জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান এবং আইনি পদক্ষেপ নেন।

• এসএইচ