04/21/2025 রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম
রাজ টাইমস
৫ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫০
রাজবাড়ীতে শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মিজানপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান শেখ (৪৫) ও একই ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মন্ডল (৩৫)। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতা বালুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হান্নান শেখ মিজানপুর ইউনিয়নের জৌকুড়া ঘাটে বালুর ব্যবসা করেন। বুধবার বিকালে হান্নান ও সাগর সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্ত এসে তাদের ওপর রামদা, চাপাতি ও হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দ্রুত উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হান্নান শেখের স্ত্রী শিল্পী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামীর সঙ্গে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য আজম মন্ডলের দ্বন্দ্ব ছিল। আমার স্বামীকে হত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়ে আসছিল আজম মন্ডল। বিকালে তিনি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় আজম মন্ডলের নির্দেশে মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের বড় আলিম, পিয়াস, রাব্বি, শাকিল, কদম আলী, তসলিম তুষারসহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী আমার স্বামী ও সাগরকে কুপিয়ে হাতুড়িপেটা করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেও তাদের অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, আহত দুই জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরে অনেক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য আজম আলী মন্ডল বলেন, আমার লোকজন হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। আমি সারাদিন রাজবাড়ীতে ছিলাম। হান্নান শেখ ও সাগর মন্ডল মাদক সেবন করে। স্থানীয়রা হয়তো তাদের গণপিটুনি দিতে পারে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।