1616

05/20/2024 নগরীতে পল্টন দিবস পালিত

নগরীতে পল্টন দিবস পালিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

২৮ অক্টোবর ২০২০ ২৩:১২

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকান্ডের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ দেশে খুনের লাইসেন্স দিয়েছে। পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছে। এদিনের নির্মম হত্যাকাণ্ড ও পাশবিকতায় কেঁদেছে বাংলাদেশ, কেঁদেছে বিশ্বমানবতা। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তরতাজা তরুণদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে পল্টন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মহানগর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা কেরামত আলী একথা বলেন।

এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েব আমীর এ্যাডভোকেট আবু মােহাম্মদ সেলিম, মহানগরী প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক সারওয়ার জাহান প্রিন্স, যুব সম্পাদক মু. জসিম উদ্দিন সরকার, মতিহার থানা আমীর মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব প্রমূখ।

মহানগর আমীর বলেন, ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে জামায়াত-শিবিরসহ চারদলীয় জোটের ৫৪ জন নেতাকর্মী মারা যায়। আহত হয়েছে ৫ সহস্রাধিক জামায়াত, শিবির, বিএনপি নেতাকর্মী, সাংবাদিক, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ। এ পৈশাচিকতা ও বর্বরতার হাত থেকে রেহাই পায়নি মায়ের কোলের শিশু, নারী, বৃদ্ধ এবং নিরীহ জনগণও। তাদের তিনদিনের ধ্বংসলীলায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।

সভায় বক্তারা বলেন, এদিন আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তরতাজা তরুণদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। শুধু হত্যাই নয়, মৃত লাশের উপর নৃত্য করার দৃশ্যও প্রত্যক্ষ করে বিশ্ববাসী। এটা শুধুমাত্র নৃশংস হত্যাকান্ডই নয়, এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক পথ চলা ব্যাহত হয়, ঘটে ব্যত্যয়। এঘটনায় জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। সর্বত্র বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসার শ্লোগান দেখা গেলেও সরকার এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার হতে দেখেনি দেশবাসী।

সভা শেষে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মহানগরীর আমীর মাওলানা ড. কেরামত আলী।

কাফি/০৪

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]