04/22/2025 যানবাহন সংকটের আশঙ্কায় রাজশাহীর নেতাকর্মীরা আগেই ঢাকায়
রাজ টাইমস
২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৪
ঢাকায় কোনো কেন্দ্রীয় কর্মসূচি থাকলে তার দুই তিন দিন আগে থেকেই যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। এবারও তেমনটি হতে পারে আশঙ্কায় রাজশাহীর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আগেভাগেই ঢাকা চলে গেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
তাই আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাওয়ার কোনো বাড়তি চাপ নেই।
বছরের অন্যান্য সময়ের মতো খুব স্বাভাবিক নিয়মেই এখন ঢাকামুখী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলও রয়েছে স্বাভাবিক। আর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দূরপাল্লার কোনো যানবাহন বন্ধের পরিকল্পনাও আপাত নেই বলেও জানিয়েছেন রাজশাহীর পরিবহন নেতারা।
তবে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে জানা গেছে, আগামী ২৮ অক্টোবর অর্থাৎ রোববার সকালে ঢাকামুখী আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেস সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ থাকবে। এর আগের দুই দিন অর্থাৎ ২৬ ও ২৭ তারিখের কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট নেই। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণও নেই। ট্রেনের টিকিট সাধারণত যাত্রার তারিখের ১০ দিন আগেই অনলাইন ও অফলাইনে (কাউন্টারে) উন্মুক্ত করা হয়। আর নির্দিষ্ট তারিখের টিকিট যাত্রার ১০ দিন আগেই বিক্রি হয়ে যায়। সেই হিসেবে আগামীকাল ২৬ এবং পরদিন ২৭ অক্টোবরের কোনে টিকিট নেই।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আব্দুল মোমিন জানান, রেলওয়ের টিকিটিং কার্যক্রমের নিয়ম অনুযায়ী ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে ছাড়া হয় এবং ৫০ শতাংশ টিকিট অফলাইনে অর্থাৎ কাউন্টারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর যাত্রা নির্ধারিত তারিখের টিকিট তার দশ দিন আগেই বিক্রি হয়। অফলাইন এবং অনলাইনে একই অবস্থা চলে। তাই চাহিদা বেশি থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রার আগ মুহূর্তে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়ার কোনো সুযোগ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে সাধারণত থাকে না।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেলওয়ে আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এখানে কোনো কারণেই বাড়তি চাপ নেওয়ার সুযোগ নেই। আর টিকিটবিহীন যাত্রী বহনেরও সুযোগ নেই। কেউ চেষ্টা করলে তাকে আইনত জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান মোহন জানিয়েছেন, ঢাকার মহাসমাবেশ ঘিরে তাদের ন্যূনতম কোনো মাথাব্যথা নেই। স্বাভাবিকভাবে নিয়মেই ঢাকাসহ বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটের বাস ছেড়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতেও ছেড়ে যাবে। তবে সড়কে কোনো রকম নাশকতা শুরু হলে তখন সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যদিও মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী পরিবহন সংকটের আশঙ্কায় আগে থেকেই রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, যাদের ঢাকায় বিভিন্ন কাজকর্ম রয়েছে তারাই শুধু আগে অবস্থান করছেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যানবাহনের কোনো সংকট নেই। আজও তাদের অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় গেছেন। বর্তমানে মোট নেতাকর্মীর চারভাগের দুই ভাগই ঢাকায় চলে গেছেন। আর দুই ভাগ ২৭ তারিখের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে যাবেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গা রুট ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে যাতায়াত খরচ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ট্রেন ও বাস উভয় পথেই নেতাকর্মীরা ব্যবহার করছেন বলেও জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।