1676

03/14/2025 রিজার্ভের অর্থ ঋণ দিলে ঝুঁকি বাড়বে

রিজার্ভের অর্থ ঋণ দিলে ঝুঁকি বাড়বে

রাজটাইমস ডেক্স

১ নভেম্বর ২০২০ ১৪:১৩

দেশে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, তা থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়া হলে ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই ডেপুটি গভর্নরের মতে- করোনাকালে আমদানি ও রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। ফলে রিজার্ভ বাড়ছে। এখানে কৃতিত্ব হলো-বৈদেশিক বাণিজ্যের স্থবিরতার। ফলে রিজার্ভ নিয়ে উচ্ছ্বাসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তবে এমন রিজার্ভ থাকলে পদ্মা সেতুর মতো বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের অসুবিধা হবে না। গতকাল অনলাইনে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস টকে অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।

এতে আরও অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের সাবেক সদস্য আলী আহমদ। ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন’ শীর্ষক বিজনেস টকের সঞ্চালনা করেন শামীমা দোলা। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন- আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থ ভালোভাবে বিনিয়োগ করতে পারলে সরকারের ভালো আয় হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি বন্ডে ভালো সুদে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে রিজার্ভের অর্থ আমি বেসরকারিখাতে বিনিয়োগের পক্ষে নই।

এই অর্থ বড় বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। বেসরকারিখাত ভালো করছে, আবার তারাই টাকা ফেরত দেয় না। তাই সরকার উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু সরকার না নিলে বিদেশি বন্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

আলী আহমদ বলেন, করোনাকালে আমদানি প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। মধ্যখানে রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে। তবে পোশাকশিল্পে রপ্তানি কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। দেশের উন্নয়নে অবকাঠামোখাতের প্রকল্পে এই অর্থ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু বেসরকারি প্রকল্পে রিজার্ভের অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্তক হতে হবে। এক্ষেত্রে রিজার্ভ থেকে ঋণ প্রদানে পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন

/এমএস ইসলাম

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]