16985

04/21/2025 সবজির বাজার কিছুটা নিম্নমুখী, দাম বেড়েছে চাল-চিনির

সবজির বাজার কিছুটা নিম্নমুখী, দাম বেড়েছে চাল-চিনির

রাজ টাইমস ডেস্ক :

১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০১

নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। এরই মাঝে নতুন করে বেড়েছে চাল-চিনির দাম।

এছাড়া মাছ-মাংসের বাজারও চড়া। তবে শীতের আগমনী বার্তায় সবজির দাম কমে আসছে কিছুটা। তবুও ৬০ টাকা কেজি দরের নিচে তেমন কোনো সবজি মিলছে না।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

২৮ চালের কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগেও ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। পাইজাম চালের কেজি ৫৫ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা। নাজিরশালের কেজি ৬৮ টাকা, যা আগে বিক্রি হত ৬৫ টাকায়।

তবে ভালো মানের নাজিরশাল চালের কেজি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, যা আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। বাজারে চিনির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। কিন্তু অনেক স্থানীয় দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।

এদিকে শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি শিম ৮০ টাকা, পাকা টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৪০-৬০ টাকা, স্থানভেদে বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়ার দামও চড়া, পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আলু ৫০-৫৫ টাকা কেজি, করলা ৬০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৯০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০, কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে লাল শাকের আঁটি ৩০-৪০ টাকা, লাউ শাক ৫০-৬০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অপরদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কিছু স্থানে ৭০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অল্প কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। এক কেজির রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। দুই থেকে আড়াই কেজির রুই-কাতলার দাম কেজিতে ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]