17176

03/18/2025 বাইডেন-জিনপিং বৈঠক, অনেক ইস্যুতে একমত

বাইডেন-জিনপিং বৈঠক, অনেক ইস্যুতে একমত

রাজ টাইমস ডেস্ক :

১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৫০

বুধবার ক্যালিফোর্নিয়াতে মিটিং করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একমত হয়েছেন তারা। তার মধ্যে অন্যতম সামরিক যোগাযোগ, ফেনটানাইল ইস্যু।

মিটিং শেষে জো বাইডেন বলেছেন, আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ। কিছু ইস্যুতে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। অন্যদিকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক কখনো মসৃণ ছিল না বলে স্বীকার করে নেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি।

তিনি আরও বলেছেন, তাই বলে এই দুই সুপারপাওয়ারের একের দিক থেকে অন্যকে মুখ ফিরিয়ে রাখা কোনো অপশন হতে পারে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়েই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী। তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছেন। জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন তারা।

মিথেন নির্গমন ধীরগতির করার বিষয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই দেশের নেতা। মিথেন হলো গ্রিনহাউসের ক্ষেত্রে শক্তিশালী একটি গ্যাস। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে নবাবয়নযোগ্য জ্বালানির উদ্যোগ তিনগুণ করায় সমর্থন দেয়ার কথা বলেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় পক্ষই মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনি ফেনটানাইলের উৎস দমন করতে রাসায়নিক কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজি হয়েছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই ফেনটানাইলের অতিরিক্ত ডোজের কারণে সেখানে মৃত্যু বাড়ছে। গত বছর এই শক্তিশালী সিন্থেটিক অপিয়ড প্রায় ৭৫০০০ মানুষের মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছে। এই পদার্থটি মাদক বা ওষুধের চালানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

ওদিকে উত্তেজনাকর একটি সময় পেরিয়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ শুরু হচ্ছে। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর এই যোগাযোগে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশার শীর্ষে ছিল।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের তখনকার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরের পর এই সামরিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেয় চীন। চীনের সন্দেহজনক গোয়েন্দা বেলুন এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে দেখা দেয়ার পর সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। ওই বেলুনকে আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর গুলি করে নামানো হয়।

এছাড়া বেশ কিছু পয়েন্ট আছে যাতে একমত হয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। মিটিংয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং শি জিনপিং হ্যান্ডশেক করেছেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক সারাহ স্মিথের মতে এটা একটা ইতিবাচক লক্ষণ।

তিনি বলেন, দুটি সবচেয়ে শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্টরা যখন একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেছেন, তখন এটা হলো কূটনৈতিকভাবে একটি অর্জন। যদি তারা একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থাকতে একমত হয়ে থাকেন, তাহলে এ ঘটনাকে একটি সফলতা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

বৈঠকের শুরুতে শি জিনপিংকে বাইডেন বলেছেন, আমাদের মধ্যকার কথাবার্তাকে মূল্যায়ন করি। আমি মনে করি ভুল ধারণা অথবা ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া একের সঙ্গে অন্যের কথা, নেতার সঙ্গে নেতার কথা পরিষ্কার হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টও একমত হন। তিনি বলেন, যুদ্ধ ও সংঘাত উভয় পক্ষের জন্য বহন অযোগ্য পরিণতি।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]