17595

04/21/2025 রাজশাহীতে ভোটের আগেই ২৮ শতাংশ প্রার্থী ধরাশায়ী

রাজশাহীতে ভোটের আগেই ২৮ শতাংশ প্রার্থী ধরাশায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৭

রাজশাহীর ৬টি আসনে ভোটের আগেই ধরাশায়ী হয়েছে ১৭ প্রার্থী। রোবাবর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাচাইবাছাই করে এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। ফলে ভোটের আগেই ছিটকে পড়লেন ২৮ শতাংশ প্রার্থী। যদিও তাদের আপিলের সুযোগ রয়েছে।

রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, রাজশাহী জেলায় মোট ৫৯ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ও ৩৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। এছাড়াও পেন্ডিং রয়েছে আরও ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন।

তিনি জানান, রাজশাহী- ১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই বাছাই করে ৪ জনকে অবৈধ ও ৭ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল খান দুদু, আল সাদ, বশির আহমেদ, নুরুন্নেসা, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন ও শামসুজ্জোহা। অবৈধরা হলেন, আখতারুজ্জামান, গোলাম রাব্বানী, মাহিয়া মাহি ও আয়েশা সিদ্দিকা ডালিয়া।

রাজশাহী-২ (সদর আসন) আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। তাদের মধ্যে ৫ জন অবৈধ ও ৭ জনকে বৈধ এবং একজন প্রার্থীকে পেন্ডিং রাখা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীরা হলেন, ফজলে হোসেন বাদশা, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী, সাইফুল ইসলাম স্বপন, মোহাম্মদ আলী, কামরুল হাসান, ইয়াসির আলিফ বিন হাবিব ও মোহাম্মদ মারুফ শাহরিয়ার। মনোনয়ন বাতিলের তালিকায় রয়েছেন, আবু রায়হান মাসুদ, রেজাউন নবী আল মামুন, শফিকুর রহমান বাদশা, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। এছাড়াও ঋণখেলাপির তথ্যের জন্য মোহাম্মদ শামিমকে বিকেল পর্যন্ত পেন্ডিং রাখা হয়েছে।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মোট ১১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ জন প্রার্থীকে অবৈধ ও ৬ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষাণা করা হয়েছে। এছাড়াও পেন্ডিং রয়েছেন আরও ২ জন। এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, এ কে এন মতিউর রহমান, সোলায়মান হোসেন, আবদুস সালাম, বজলুর রহমান ও আয়েন উদ্দিন। এ আসনে মনোনয়ন বাতিলের তালিকায় রয়েছেন, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ নিপু হোসেন। এছাড়াও মোহাম্মদ সইবুর রহমান ও এনামুল হক পেন্ডিং আছেন। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মোট ৭ জন মনোনয়ন জমা দেন। এদের মধ্যে একজনকে অবৈধ ও তিন জনকে বৈধ এবং পেন্ডিং রাখা হয়েছে তিনজনকে। বৈধরা হালেন, সাইফুল ইসলাম রায়হান, এনামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ। মনোনয়ন বাতিলের হয়েছে, হয়েছেন মো. বাবুল হোসেন। এছাড়াও জিন্নাহতুল ইসলাম জিন্নাহ, মতিউর রহমান ও আবু তালেব প্রামানিককে পেন্ডিং রাখা হয়েছে।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে অবৈধ ও ৬ জনকে বৈধ এবং একজনকে পেন্ডিং রাখা হয়েছে। বৈধরা হলেন, মনসুর রহমান, মোখলেসুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ, শফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। এই আসনে অবৈধরা হলেন, ওবায়দুর রহমান ও আহসান উল হক মাসুদ। এছাড়াও আলতাফ হোসেন মোল্লাকে পেন্ডিং রাখা হয়েছে।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জাম দেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে অবৈধ ও ৭ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীরা হলেন, জুলফিকার মান্নান জামী, মহসীন আলী, শাহরিয়ার আলম, রাহেনুল হক, রিপন আলী, সামসুদ্দীন রিন্টু ও আব্দুস সামাদ। এছাড়াও অবৈধরা হলেন, খাইরুল ইসলাম ও ইসরাফিল বিশ্বাস।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, রাজশাহীর ৬টি আসনে যাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। এদের যাচাই বাছাই করতে গিয়ে অনেকের তথ্যে মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়াও অনেকের ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও অন্যান্য অসঙ্গতির জন্য কয়েকজনকে সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সকল প্রার্থীরই আপিলের সুযোগ রয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]