1761

09/17/2024 নোয়াখালীতে নার্সকে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা, রাতভর নির্যাতন

নোয়াখালীতে নার্সকে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা, রাতভর নির্যাতন

রাজটাইমস ডেক্স

৬ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৪০

নোয়াখালী শহরের মাইজদী থেকে তুলে নিয়ে এক নার্সকে (১৯) ধর্ষণের চেষ্টা ও রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওই নারী বর্তমানে তার এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত বুধবারের এ ঘটনায় ভিকটিম তরুণী তার সাবেক স্বামী ও তার তিন সহযোগীর নামে মামলা করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সুধারাম থানায় মামলাটি করা হয়।

আসামিরা হলেন- ওই তরুণীর সাবেক স্বামী কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাপ্পী, তার সহযোগী একই গ্রামের রহিম, আরমান ও সদর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের সাগর।

এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভিকটিম ওই তরুণী জেলা শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে কর্মরত। গত বুধবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার জন্য মাইজদী পেট্রল পাম্পের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এ সময় একটি অটো এলে তাতে তিনি ওঠেন। অটোটি একটু সামনে গেলে দুজন যাত্রী সামনের সিটে ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর তার সাবেক স্বামী ও আরও একজন ভিকটিমের দুপাশে উঠে বসেন।

এর পর তাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে তার সাবেক স্বামী বাপ্পী ও তার সহযোগী রহিম (২৪)। একপর্যায়ে চোখ-মুখ চেপে ধরে তাকে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

অটো থেকে নামার পর ওই তরুণী বুঝতে পারেন এটি তার সাবেক শ্বশুরবাড়ি। ফাঁকা বাড়িতে বাপ্পীর বাবা-মা কেউই ছিল না। সেখানে নিয়ে তাকে রাতভর নির্যাতন করেন তার সাবেক স্বামী।

রাতে নেশা করে বাপ্পী ও তার দুই সহযোগী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু নির্যাতন সহ্য করে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পান ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে পালিয়ে চাচার বাসায় এসে আশ্রয় নেন ভিকটিম।

পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

ভিকটিমের চাচি জানান, মেয়েটি ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। তার মা অন্যত্র বিয়ে করেছে। এর পর নানির কাছেই বড় হয়েছে সে। নবগ্রামে নানির কাছে থাকাবস্থায় বখাটে বাপ্পীর নজরে পড়ে সে। বাপ্পী অনেকটা জোর করে অপ্রাপ্ত বয়সেই তাকে বিয়ে করে।

তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর বাপ্পী সবসময় মেয়েটিকে নির্যাতন করত। বাপ্পীর মা, ভাইবোনও তাকে মারধর করত। দুই মাস আগে তাদের ডিভোর্স হয়।

এ ব্যাপারে সুধারাম থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর মামলার পর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সূত্র : দৈনিক যুগান্তর

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]