17872

05/18/2024 সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ

সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ

রাজটাইমস ডেস্ক:

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫২

ঢাকা-ময়মনসিংহ ‍রুটে রেললাইন কেটে ফেলায় ইঞ্জিনসহ সাত বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর রেললাইন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। এতে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরের এই ঘটনায় গাজীপুরের ভাওয়াল রেল স্টেশন ও রাজেন্দ্রপুর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী বন খড়িয়া এলাকায় ময়মনসিংহ-ঢাকা রেললাইনের ৬০০ ফুট রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে রেল কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকারী দল রেললাইন মেরামতে অংশ নেয়। তাদের প্রচেষ্টায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল। তবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগি ও ইঞ্জিন রেল সড়কের দুই পাশে এখনো পড়ে রয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সফিকুর রহমান।

এই রেলওয়ে কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনায় শুধু রেললাইনের বগি-ইঞ্জিনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, ৬০০ ফুট রেললাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি স্লিপার পুরোই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনশ ফুট রেললাইনে নতুন করে পাত বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের মেরামত শেষে রিলিফ ট্রেন চালানো হয়েছে। এখন ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত শেষে পুরোপুরি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।

সফিকুর রহমান বলেন, লাইনচ্যুত বগিগুলো নিরাপদ দূরত্বে রেল সড়কের পাশে সরিয়ে রাখা হবে। আর লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধার করা হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনার সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বুধবার ভোর ৪টার দিকে বনখড়িয়া গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এঘটনায় মারা যান এক যাত্রী। আহত হন অর্ধশতাধিক। বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধী দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে এটি পরিকল্পিত নাশকতা বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]