মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশেষ অধিবেশন বসেছে সংসদে।

রোববার (০৮ নভেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ৬টায় এই অধিবেশন শুরু হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়। সংসদ কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ এটাই সংসদের প্রথম অধিবেশন।

বিশেষ এই অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ পাড়া সাজানো হয়েছে নান্দনিকভাবে। স্বাস্থ্যবিধি  মেনে নানা আয়োজন করা হয়েছে।

বিশেষ এই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা পাস হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদেশি অতিথিরা না থাকলেও এই অধিবেশনকে স্মরণীয় করে রাখতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

ভিন্নভাবে সাজানো সংসদের অধিবেশন কক্ষে স্পিকার যেখানে বসেন, তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টানানো হয়েছে। সংসদ ভবনের লেকে ভাসানো হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য দৃষ্টিনন্দন দুটি নৌকা। দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক এই নৌকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। সংসদ লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ বাণী নিয়ে আলো-ছায়ার দৃষ্টিনন্দন কোলাজ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে বলেই জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অধিবেশনের প্রথম দিন শোক প্রস্তাব উত্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে জানা যায়। এরপর প্রশ্নোত্তর ও জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণীয় নোটিশ নিষ্পত্তি করা হবে। অধিবেশনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করবেন। 

৮ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া অধিবেশন চলবে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে আগামী ৯ থেকে ১২ নভেম্বর বিশেষ কার্যক্রম চললেও বাকি দিনগুলো সাধারণ কার্যক্রম চলবে। 
 

• এসএইচ