04/22/2025 ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে নববর্ষ উদযাপন নিষিদ্ধ করলো শারজাহ-পাকিস্তান
রাজ টাইমস ডেস্ক :
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:০৩
গাজার সর্বকালের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধ নতুন বছরের কাউন্টডাউনের উপর ছায়া ফেলেছে মুসলিমবিশ্বে। এজন্য প্রথাগত নববর্ষের উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে শারজাহ ও পাকিস্তান।
শনিবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) তৃতীয় বৃহত্তম আমিরাতের শারজাহ কর্তৃপক্ষ গাজার সাথে সংহতি প্রকাশ করে সমস্ত আতশবাজি প্রদর্শনসহ এর প্রথাগত নববর্ষের সূচনার উদযাপন বাতিল করেছে।
শারজাহ পুলিশ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঘোষণা করেছে যে- উদযাপনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এ অঞ্চলের আর কোথাও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বা অন্য আমিরাতগুলোতেও নয়, যারা তাদের অসামান্য বার্ষিক নববর্ষের আগের দিন উদযাপনের জন্য বিখ্যাত।
এদিকে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে দেশজুড়ে নববর্ষ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন কারণ গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীকে পর্যুদস্ত করতে ইসরাইল তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জাতীয়ভাবে টিভিতে সম্প্রচারিত ঘোষণায় কাকর বলেছেন, ‘গাজা ও পশ্চিম তীরে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা, বিশেষ করে শিশুদের নিধনযজ্ঞ নিয়ে গোটা পাকিস্তান ও মুসলিম বিশ্ব গভীর বিষাদে রয়েছে।’
তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে চরম উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণে এবং আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনেদের প্রতি সংহতি জানাতে নববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর গোটা দেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।’
পাকিস্তানসহ বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলো ইসরাইলের লাগাতার সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং আসন্ন মানবিক সঙ্কট মোকাবেলায় সাহায্যের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে জোরালো করেছে।
গাজা ভূখণ্ডের মোট ২৩ লাখ মানুষ পানি, খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতিতে ভুগেছে। সীমিত পরিমাণ ত্রাণ এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।
কাকর বলেন, ইসলামাবাদ ইতোমধ্যেই গাজাতে দুই চালান ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে এবং তৃতীয়টি শিগগিরই পাঠানো হবে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজার বিস্তীর্ণ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হয়েছে।
ইসরাইলের সাথে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং ‘স্থায়ী ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র’ যা বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের দীর্ঘ দিনের নীতি, প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলকে তারা সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে রাজি নয়।
পাকিস্তানিরা এই ইহুদি রাষ্ট্রে যেতে পারে না কারণ তাদের পাসপোর্টে বলা রয়েছে, সেটি ‘ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের সব দেশে বৈধ।’
সূত্র : মিডল ইস্ট আই