04/23/2025 ব্যালটে থাকবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সিল-সই: ইসি
রাজ টাইমস ডেস্ক :
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫৫
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রতিটি ব্যালট পেপারের উল্টো দিকে সিল ও সই দেয়ার পর তা ভোটারকে সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের জারি করা এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোটাদান প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে সম্প্রতি এ বিধান এনেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটারের পরিচয় শনাক্তকরণের পর প্রকৃত ভোটারকে ব্যালট পেপার দেয়ার সময় ব্যালট পেপারের অপর পৃষ্ঠায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৩১ এর দফা (২) (ঘ)-এর বিধান অনুসারে অফিসিয়াল সিল দ্বারা ছাপ এবং স্বাক্ষর দিয়ে ভোটারকে ব্যালট পেপার হস্তান্তর করতে হবে।
এছাড়া ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ে কোনো ভোটকক্ষে যদি কোনো ব্যালট বাক্স ভরে যায় এবং ব্যালট পেপার গ্রহণের জন্য আর ব্যবহার না যায় তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ওই ব্যালট বাক্স তার নিজের স্বাক্ষর ও সিলমোহর দ্বারা উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্টদের মধ্যে যারা ইচ্ছুক তাদের সিলমোহর বা দস্তখত দ্বারা সিল করে দেবেন।
পরে বাক্সটিকে একটি সুরক্ষিত স্থানে রাখবেন। এরপর ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে ভোট কক্ষে যে পদ্ধতিতে ব্যালট বাক্স দিতে হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে পুনরায় একটি নতুন ব্যালট বাক্স ব্যবহার করবেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ভোটারদের কেউ উৎসাহিত ও নিরুৎসাহিত করতে পারবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোট কেন্দ্রের নির্ধারিত ৪০০ গজ চৌহদ্দির মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশে পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা এমন কোনো প্রকার প্রচারপত্র থাকলে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই সরিয়ে ফেলতে হবে।
কেউ যেন ভোটের জন্য ক্যানভাস না করতে পারেন বা কাউকে ভোটদানের জন্য উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করতে না পারেন, সেই দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশে পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা উক্তরূপ কোনো প্রকার প্রচারপত্র থাকলে তা ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পূর্বেই সরিয়ে ফেলতে হবে।
ভোট কেন্দ্রগুলো যাতে অন্ধকার না থাকে সে জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও করতে হবে। কেউ যেন ভোটের জন্য ক্যানভাস না করতে পারেন বা কাউকে ভোটদানের জন্য উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করতে না পারেন সেই দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ভোট কেন্দ্র হিসেবে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষের মধ্যে একাধিক ভোট কক্ষ স্থাপন করা সমীচীন নয়। কারণ তাতে ভোটারদের নির্ধারিত ভোট কক্ষে ভোটদানে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে ভোট কেন্দ্রের পরিসর এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একাধিক ভোট কক্ষে স্থাপন করা হয় তাহলে প্রত্যেক ভোট কক্ষের অবস্থান বা এলাকা সুনির্দিষ্টভাবে চট বা চাটাই অথবা অন্য কোনো বস্তু দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করতে হবে। যাতে এক ভোট কক্ষ থেকে অন্য ভোট কক্ষের মধ্যে যাতায়াত করা না যায় বা কথাবার্তার আদান-প্রদান করা সম্ভব না হয়।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে এবং ভোট গ্রহণের সময় আলোর স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। প্রতিবিধান স্বরূপ ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ভোটগ্রহণের দিন অপরাহ্ণের দিকে বেশি সংখ্যক ভোটার ভোটদানের জন্য জমায়েত হতে পারেন। শেষ মুহূর্তে যাতে এরূপ ভোটাররা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে হবে। কোনো ক্রমেই বিলম্বে ভোটগ্রহণ শুরু করা যাবে না।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং সমর্থকরা যাতে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনয়নের জন্য কোনো প্রকার যানবাহন ব্যবহার করতে না পারেন অথবা আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করেন সে বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলো উল্লেখ করে সতর্ক করে দিতে হবে। অন্যথায় আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।