04/22/2025 হজ নিবন্ধনে ভাটা, সৌদির দিকে তাকিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়
রাজটাইমস ডেস্ক:
২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ২১:০৭
কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও এবার হজ নিবন্ধনে নির্ধারিত কোটার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। ইতোমধ্যে নিবন্ধন বন্ধ ঘোষণা করলেও কোটার প্রায় ৭৪ হাজার বাকি রয়ে গেছে। এই অবস্থায় হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, এবার হজ নিবন্ধনের বিষয়টি সৌদি আরবের ওপর নির্ভর করছে। দেশটি সুযোগ না দিলে আর সময় বাড়ানো সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যে সৌদি আরবকে সময় বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তের দিকেই এখন তাকিয়ে আছেন সংশ্লিষ্টরা।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, হজের চূড়ান্ত সময় বাড়ানো নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলাপ করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জামালপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ১৮ জানুয়ারি হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে। সার্ভার জটিলতাসহ নানা কারণে এখনো প্রায় ৭৪ হাজার মুসল্লি নিবন্ধন করতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ অলসতা করতে করতে এমন পর্যায়ে যায় যখন আর সময় থাকে না।
ফরিদুল হক খান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সৌদি সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি তারা সময় পরিবর্তনের জন্য দুই-চার দিনের জন্য সুযোগ দেয় আমরাও সময় বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জানা যায়, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনের কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও সাড়া মেলেনি হজযাত্রীদের। নিবন্ধনের তৃতীয় দফার সময় শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। এরপর আর সময় বাড়ায়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১৭৩ জন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ২৫ জনের।
আগ্রহী হজ যাত্রীদের নিবন্ধনের আরও কিছু সময় বাড়ানোর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে রোববার অনুরোধ করেছে হাব। তবে মন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুষছেন হজ এজেন্সি মালিকদের। তিনি বলেন, এবারই প্রথম না প্রতিবছরই বাংলাদেশের এজেন্সি মালিকরা এই (সময় বিলম্বিত) কাজটি করে থাকেন। যে কারণে আমরা এই পলিসি বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, চলতি বছর হজ পালনের নিবন্ধন একটু আগ থেকেই শুরু হয়েছে। অনেক আগ্রহী হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন করেনি। তাই নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর জন্য আমরা ধর্মমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাতেও নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি।
হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গত বছর নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় আটবার সময় বাড়ানো হয়। এরপরও শেষ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি কোটা ফেরত যায়। এবার হজের খরচ কিছুটা কমানোর পরও নিবন্ধনে সাড়া মেলেনি। সৌদি আরবের সম্মতিতে সময় বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত এবার কোনোভাবেই কোটা পূরণ হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।