04/20/2025 ডলার সঙ্কটের বিরূপ প্রভাব হিলি স্থলবন্দরে
রাজ টাইমস ডেস্ক :
২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ২০:০৫
গত কয়েকমাস আগেও এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করলেও বর্তমানে এই সংখ্যা নেমে এলো মাত্র ৪০ থেকে ৫০ ট্রাকে।
একদিকে ডলারের দাম ওঠা-নামা অন্য দিকে কাঙ্কিত ঋণপত্র না পাওয়ার কারণেই পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে বলে মনে করেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
বন্দরের আামদানি-রফতানি কমায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে বন্দরের শ্রমিকদের মাঝে। আয় রোজগাড় কমে যাওয়ায় পরিবাবর পরিজন নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। অন্যদিকে বন্দরে লোকসমাগম কমে যাওয়ায় বেচা-কেনা কমেছে বন্দর কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা খাবার দেকানসহ ছোট-ছোট চায়ের দোকানগুলোতে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক হারুন উর রশিদ জানান, বছরের বেশি সময় ধরেই ডলার সঙ্কট চলছে দেশের ব্যাংকগুলোতে। সেই সাথে ডলারের দাম ওঠা নামা করছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডলার সঙ্কটের কারণে ব্যাংকগুলো থেকে চাহিদা মাফিক ঋণপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু ঋণপত্র খোলা গেলেও একেক ব্যংকে ডলারের দাম একেক রকম রাখা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে প্রতি ডলারের দাম ১১০ টাকা নির্ধাণ করা হলেও একেক ব্যাংকে একেক রকম রেট হাকা হচ্ছে। ডলার প্রতি ১১৫ থেকে ১২৪ টাকা দাম ধরা হচ্ছে। একেক সময় ডলারের দাম একেক রকম রাখা হচ্ছে। ডলার মূল্য ওঠা-নামা করায় ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে বন্দরের পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক মাস আগেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক পণ্য নিয়ে হিলি বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করত। এখন এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৪০ থেকে ৫০ টিতে নেমে এসেছে। ঋণপত্র খোলা সহজ করা না হলে পণ্য আমদানির পরিমাণ আরো কমে যেতে পারে বলে অশঙ্কা বন্দরের আমদানিকারকদের।
এদিকে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় বিরুপ প্রভাব পড়েছে সরকারের রাজস্ব আদায়ে। একইসাথে চাহিদা মাফিক ট্রাক বন্দরে প্রবেশ না করায় কাঙ্ক্ষিত বন্দর মাসুল আদায় করতে পারছে না বন্দরের বে-সরকারি অপারেট প্রতিষ্ঠান পানামা হিলি পোর্ট কর্তৃপক্ষ।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দরে প্রতিদিন যে পরিমাণ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে তাতে সরকারের অংশ কেটে রেখে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে।