19276

04/22/2025 টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত : প্রধানমন্ত্রী

টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত : প্রধানমন্ত্রী

রাজ টাইমস ডেস্ক :

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৩২

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে বিশ্বে সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে বিজ্ঞান সমাবেশে নবম আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যা দিবসের আয়োজনে এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যায্য, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোতে নারী ও মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। নারীরা যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার বেছে নেয় সেজন্য আমাদের অবশ্যই সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।’

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোতে নারীদের নেতৃত্বে আসা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে আমাদের নারী বিজ্ঞানীদের কাজের স্বীকৃতি ও প্রণোদনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সারাদেশে হাজার হাজার নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন করছে।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে নারীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি দেখে আমি আনন্দিত। তরুণীদের আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও প্রতিবন্ধী তরুণদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের জীবন পরিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ করছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সব উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছি।’

সরকার প্রধান বলেন, অতীতে উচ্চশিক্ষায় বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক ছিল না।

তিনি বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ নারী, যেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের হার ৩০ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী অনুদানগুলোতে নারীরা অগ্রাধিকার পান তা আমরা নিশ্চিত করি।‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর ভিশন অনুধাবনের জন্য আমাদের তরুণ মেয়েদের প্রস্তুত হতে হবে।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার প্রতি সবসময় নিবেদিত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

জাতিসঙ্ঘের তথ্য মতে, সারাবিশ্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের শাখার সব স্তরে বছরের পর বছর ধরে লিঙ্গ বৈষম্য বিরাজ করছে।

উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণে নারীরা অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখালেও এখনো এই ক্ষেত্রগুলোতে তাদের প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত নয়।

বলা হয়ে থাকে, লিঙ্গ সমতা সবসময় জাতিসঙ্ঘের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিঙ্গ সমতা এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নেই নয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা- এর সমস্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

২০১১ সালের ১৪ মার্চে তাদের ৫৫তম অধিবেশনে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের প্রবেশাধিকার এবং অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন গ্রহণ করে নারীর অবস্থাবিষয়ক কমিশন। এছাড়াও এই ক্ষেত্রগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থান ও উপযুক্ত কাজের জায়গায় সমান সুযোগের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়।

২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বিষয়ে সাধারণ পরিষদে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়। সেখানে সব বয়সের নারী ও মেয়েদের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে পূর্ণ ও সমান প্রবেশাধিকার এবং অংশগ্রহণ জেন্ডার সমতা ও নারী ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্যতার বিষয়ে সবাই সম্মত হয়।

সূত্র : ইউএনবি

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]