19994

05/13/2024 সিএএ কার্যকরের পর আসামে ব্যাপক বিক্ষোভ

সিএএ কার্যকরের পর আসামে ব্যাপক বিক্ষোভ

রাজ টাইমস ডেস্ক :

১৩ মার্চ ২০২৪ ১১:২৩

ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালুর পর আসামে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় মোদি সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজ্যজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে সেই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএএসইউ) এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলো মঙ্গলবার এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়। রাজ্যজুড়ে এদিন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং সিএএর কপি পোড়ানো হয় । আসামের ১৬টি বিরোধী দলের জোট ইউওএফএ এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেয়।

এদিকে মোদি সরকারের সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। মঙ্গলবার উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বলেন, ‘ভোটের আগে বিজেপি বিভাজনের খেলা খেলতেই এটা করেছে। তা হলে চার বছর বসে রইল কেনো? ওরা আবার বাংলাটাকে ভাগ করতে চায়। বাঙালিকে তাড়াতে চায়।’

এই প্রসঙ্গেই মমতা ২০১৯ সালে আসামের ঘটনার উল্লেখ করেন। তার কথায়, ‘২০১৯ সালে আসামে এনআরসির নামে ১৯ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো। তাদের মধ্যে ১৩ লাখ বাঙালি হিন্দু।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা কথা মন দিয়ে শুনে নিন! আপনারা কেউ নাগরিকত্বের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবেন না। করলেই আপনাদের নাগরিকত্ব চলে যাবে। আপনাকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলবে। আপনার সম্পত্তি কেড়ে নেবে। ওই ফাঁদে খবরদার পা দেবেন না!’

সিএএ আটকাতে সুপ্রিমকোর্টে মুসলিম সংগঠন :

২০১৯ সালে আইনে পরিণত হওয়া সিএএ-তে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

বিতর্কিত এই সিএএ আটকাতে মঙ্গলবারই সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলো একটি মুসলিম সংগঠন। কেরালার আঞ্চলিক দল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল) শীর্ষ আদালতে সিএএ নিয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টে জমা দেওয়া আবেদনে আইইউএমএল বলেছে, সিএএ ‘অসাংবিধানিক এবং বিভাজনের আইন।’

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত।

সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]