20554

09/08/2024 বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ ওষুধের গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত

বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ ওষুধের গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত

রাজ টাইমস ডেস্ক :

২ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৭

বগুড়া শহরের ওষুধ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ টি গোডাউন ও মার্কেটের লিফট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি এ তথ্য জানায়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে শহরের সাতমাথার মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ছয় তলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি জানায়, মার্কেটের দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ তলা ওষুধের দোকান। আর ষষ্ঠ তলায় ওষুধের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন ব্যবসায়ীরা। এখানে মোট ৪০ টি গোডাউন আছে।

এরমধ্যে সাইদুর রহমানের অভি মেডিসিন সবচেয়ে বড় গোডাউন। সেখান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয় । পরে আগুন ষষ্ঠতলার অন্যান্য গোডাউনগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে অভি মেডিসিনের পাশে থাকা পলক মেডিসিন, হিরা ফার্মেসি, রফিক মেডিকেল, এসএম ফার্মেসিত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, সম্ভবত সিগারেটের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মার্কেটে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল কিন্তু আগুনের কারণে ছয় তলায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের এসে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুনের ভয়াবহতা কম ছিল। তবে ধোঁয়ার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। এছাড়াও মার্কেটে সিড়ি রয়েছে একটি। ফলে চলাচলেও সমস্যা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে ধোয়া বের করে দেওয়া হয়। মূলত এ কাজে সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে অভি মেডিসিনের মালিক ও অন্য ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে আসেন।

অভি মেডিসিনের মালিক সাইদুর রহমান জানান, মার্কেটে তার গুদাম সবচেয়ে বড়। আগুনে তার গুদামের সব ওষুধ পুড়ে গেছে।

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ৩৮ টি গুদামে ওষুধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভিজে মার্কেটের লিফট নষ্ট হয়ে গেছে। আরো ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে। প্রতিটি গুদামে প্রতিটি গুদামে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ওষুধ আছে।

মিজানুর রহমান আরো জানান মার্কেটে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেটি ব্যবহার করার সুযোগ হয়নি। আমরা ধারণা করছি কোনো ইলেকট্রিক সার্কিট নয় সিগারেটের আগুন থেকে এই ঘটনা হতে পারে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারি পরিচালক ম‌ঞ্জিল হক বলেন, প্রায় দুই-আড়াই ঘন্টা কাজের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের থেকে ধোয়ার পরিমাণ বেশি ছিল। এজন্য সময় লেগেছে বেশি। পুরো ভবনটি আমরা ঘুরে দেখেছি এখানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল। সিড়ি একটা ছিল। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত সাপেক্ষে বলা হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]