21145

03/17/2025 উপাচার্যের ভবনে ফগার মেশিন; মশার তাণ্ডবে অতিষ্ঠ রাবি শিক্ষার্থীরা

উপাচার্যের ভবনে ফগার মেশিন; মশার তাণ্ডবে অতিষ্ঠ রাবি শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি:

৫ মে ২০২৪ ১৪:৩৮

দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রাত-দিন অসহ্য গরম আর লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি এখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে মশার উপদ্রব। মশক নিধনের অভিযান না করা এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের ড্রেন, নর্দমা, পরিত্যক্ত জায়গাগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় বেড়েছে মশার প্রজনন। দিনের বেলা কম মশা হলেও সন্ধ্যা নামলেই বাড়ে মশার উৎপাত। এতে ডেঙ্গুসহ নানা মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

মশক নিধনের অভিযান পরিচালনা না করার ফলে মশার প্রকোপ বাড়ছে। এতে দিনে ও রাতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে বিশ্বিবদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, হলের ক্যান্টিন ও ডাইনিং, খাবারের হোটেল ও আড্ডা দেওয়ার জায়গাগুলোতে মশার প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মশার উপদ্রব প্রকট আকার ধারণ করলেও কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা নিধনের জন্য নিজস্ব দুটি ফগার মেশিন থাকলেও নেই তার ব্যবহার । ফলে মশার কামড়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব কমাতে গত ২০২২ সালের মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে দুটি ফগার মেশিন ক্রয় করে প্রশাসন। কিছুদিন ফগার মেশিনের ব্যবহার দৃশ্যমান থাকলেও এখন আর নেই তার কার্যক্রম। সেগুলো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দ আমীর আলী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হল, বঙ্গমাতা হলের পিছনের এলাকা রীতিমতো জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। রোকেয়া হলসহ রাবির বিভিন্ন আবাসিক হলের আশেপাশে ঝোঁপঝাড় অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে যততত্র অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ভবনের ড্রেন আবর্জনার স্তুপ হয়ে আছে। এতে সহজেই মশার প্রজনন হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের ড্রেন ও জলাশয়গুলোতে অতিরিক্ত আবর্জনা এবং ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, হলের বাথরুম ও ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা। ফগার মেশিন থাকতে কেন মশার উপদ্রব কমাতে এসব ঝোপঝাড়ে নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে না, তাহলে ফগার মেশিন কেন ক্রয় করা হয়েছে?—এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আল ইমরান বলেন, "রাবি ক্যাম্পাসে দিনে প্রচণ্ড গরম এবং রাতে মশার কামড়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় অতিষ্ঠ। মশার উপদ্রবে আমাদের পড়াশোনাতেও ব্যাঘাত ঘটছে। মশারি টানিয়েও আমরা অবস্থান করতে পারছি না। আগে ফগার মেশিন দিয়ে হলগুলোর আশেপাশে স্প্রে করা হলেও এখন আর স্প্রে করা হয় না। ফলে মশার উপদ্রব দিনদিন বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।"

মশার উপদ্রব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, "এ সময় ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। মশা নিধনের বিষয়ে আমাদের একটা কমিটি আছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের ফগার মেশিনগুলো ঠিকঠাক আছে। কিন্তু মেশিনগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। আমি ইতোমধ্যে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করতে নির্দেশনা দিয়েছি।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]