ভারতে আটক হয়েছে বাংলাদেশের ১৪ রোহিঙ্গা শরণার্থী। একটি ট্রেনে করে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।  

পালিয়ে যাওয়া এসব রোহিঙ্গারা গত সপ্তাহে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে বিশেষ ট্রেনে করে দিল্লি যাওয়ার সময় মাঝপথে আটক হয়। ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভুয়া নাম-পরিচয়ে এরা টিকিট কেটেছিলেন এবং তাদের কারও কাছেই বৈধ পরিচয়পত্র ছিল না।

তারা বিশেষ ট্রেন রাজধানী এক্সপ্রেসে করে দিল্লিতে যায়, সেই ট্রেনেই যাত্রী হিসেবে ছিলেন এই রোহিঙ্গারা। ১৪ জনের দলে ১০ জনই ছিলেন নারী, একটি শিশু আর বাকি তিনজন পুরুষ। ট্রেনটি যখন ত্রিপুরা ও আসাম ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে, তখন কামরার অন্য যাত্রীদের সঙ্গে তারা বচসায় জড়িয়ে পড়লে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার (৩০ নভেম্বর) মধ্যরাতে শিলিগুড়ি শহরের কাছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পুলিশ তাদের আটক করে।

টিকেট কাটার সময় তাদের কারো পরিচয়পত্র ছিল না বলেই জানান ভারতের পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের প্রধান মুখপাত্র শুভানন চন্দা।

তাদের কাছে পরিচয়পত্র না থাকায় সেটাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ড শুরু হয়। অন্য যাত্রীরা আলিপুরদুয়ারে রেলের হেল্প-লাইনে ফোন করলে রেল পুলিশ পরের স্টেশনে গিয়েই তাদের আটক করে এবং রোহিঙ্গাদের ওই দলটিকে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ বা জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তবে কিভাবে তারা বাংলাদেশ পার হয়ে ভারতে ঢুকে পরলেন এবং রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো নিরাপত্তা সম্পন্ন ট্রেনে উঠলেন রেলের কাছে এর কোনও সদুত্তর নেই।

তাদের ভারতে প্রবেশের সূত্র জানা নাই জানিয়ে মুখপাত্র চন্দা আরো বলেন, ‘কীভাবে তারা এদেশে এসেছেন আমাদের জানা নেই। তবে ধরা পড়া মাত্রই আমরা জিআরপির হাতে তাদের তুলে দিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অধীন ওই সংস্থাই এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ’

• এসএইচ