21673

04/20/2025 ঘূর্ণিঝড় রেমাল : সুন্দরবন থেকে আরও ১৫টি মৃত হরিণ উদ্ধার

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : সুন্দরবন থেকে আরও ১৫টি মৃত হরিণ উদ্ধার

রাজ টাইমস ডেস্ক :

৩০ মে ২০২৪ ১৬:২৩

সুন্দরবনে স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় দুই বার জোয়ার এবং দুই বার ভাঁটা হয়। সেই হিসেবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় সুন্দরবন চারবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ও চারবার ভাঁটায় পানি নেমে যাওয়ার কথা।

কিন্তু এবার সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য প্রথম এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে - কারণ রেমাল আঘাত হানার পর এবার টানা ৪৮ ঘণ্টা পানিতে তলিয়ে ছিল পুরো বনাঞ্চল।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১৫টি হরিণ এবং একটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ৩৯টি হরিণ এবং একটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ফলে সুন্দরবন থেকে মোট ৫৬টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর দেড়টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।

খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৫৪টি হরিণ এবং দুটি শূকর মিলিয়ে সুন্দরবনের ৫৬টি বণ্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা করা হয়। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]